মাথার ঠিক পিছন দিকটা...
আন্দোলন করছে
চিন্তাশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে
সবকিছুই বিবর্ণ লাগছে
আশার আলো হারাচ্ছে
অন্তরে দন্দ বাড়াচ্ছে
কালো কালো রঙগুলো ছড়াচ্ছে
................ কেন?!
শক্তি নেই আর...
একা দাঁড়ানোর
দু’হাত বাড়ানোর
দু’পা নাড়ানোর
দু’টি কথা বলার
কিছু শোনার
আরও কিছু দেখার
এতকিছুর পরেও?!
আবার....... আবারও?!
আমি ছোট। খুব... খুবই...
কাকে বলবো?
কার সাথে চলবো?
একান্ত কিছু উপলব্ধি
আমি কাকে বলবো?
কার দিকে? হ্যা... কার দিকে?
আশা নিয়ে চাইবো?
দু’টি উপলব্ধি
কাকেই বা বোঝাবো?
বাম, ডান, সম্মুখ, পশ্চাদ, উপর আর নিচে
বলতো?... আমি ভরসা রাখবো কিসে?
সেকাল, একাল, ওকাল আর কলিকাল
সকাল, সন্ধা, ভরদুপুর নাকি বিকাল?
কখন?... কখন সে সময়?
যখন আমি, তুমি, তোমরা, ওরা হ্যা তারাও...
নিরাপদ, সুখময় সুষম সে সময়?
তুমি... হ্যা তুমিই আমার না
আমি। হ্যাঁ আমিই তোমার না
আমরা... না আমরা ওদের না
ওরা... না না না ওরা কারো না
তুমি, আমি, আমরা আর তারাও
কেও কারো না।
কোথায়?... কেন?... কিসের জন্য?
ওরা, তারা, হ্যাঁ ওরাও কাদে?
কি সে?... কি তা?... যা চাও তোমরা,
আমরা, ওরা এমনকি তারাও?
না না... আমি আর ভাবতে পারছি না...
ঐ যে... দেখ প্রবাহিত লহিত...
দেখ দেখ ওটা আমার দিকে আসছে
তুমি দেখছো না?!...
দেখ ঝরে পড়ছে... অঝরে...
দেখ দেখ...
ও কার বুকের ধন?... এভাবে কেড়ে নিল?...
আচ্ছা ঐ যে লহিত আর ঝরে যাওয়া লবনাক্ত তরল
ওরা কি কথা বলতে পারে?
ওরা অভিযোগ করতে পারে?
ওরা অনুযোগ করতে পারে?
আচ্ছ ওরা কি বিচার চাইতে পারে?
ওরা কি কেড়ে নিতে পারে সুখ......?
ভাঙতে পারে কোন বুক?
যেখানে একটা বড়... খুব শক্ত পাথর।
যা ঢাকা থাকে কিছু পেশি আর কিছু লাল রংয়ের বিষাক্ত বিষ দিয়ে।
...
...
না... পারে না।
পারেনি...
পারবেও না...
ওটা বড় শক্ত
ওখানে কোন দুর্বলতা নেই
ওটা আচ্ছাদিত সবচেয়ে শক্ত কিছু দিয়ে।
যা... নিজেই নিজেকে ধ্বংস করতে সামর্থ রাখে।
না... আমি আশায় থাকি না আর।
শুনছি শেষ হয়ে এসেছে।
আর কয়েকটা... কয়েকটা বছর বাকি।
তার পরেই নাকি সব... সব কিছু শেষ
ওই যে পাথরটা যেটা খুব শক্ত
যেটা আমার এই... এই ঠিক বুকের মধ্যে আছে
হ্যাঁ তোমারও আছে
ওরা... ওদেরও
হ্যা ওটাও শেষ হয়ে যাবে
কিন্তু কি জানো....?
ওই যে প্রবাহিত লহিত
ঝরে ঝরে পড়া তরল
ওগুলো...
তখন...
কথা বলতে পারবে
অভিযোগ করতে পারবে
অনুযোগ করতে পারবে
বিচার চাইতে পারবে
বিচার............!!!
....... হ্যাঁ বিচার
সেই বিচার... যার পরে আর কোন বিচার হবে না
আর কোন শক্ত পাথর ধীরে ধীরে জন্মাবে না চামড়ার নিচে
তখন ওরা হাসবে কিন্তু ওদের মুখের উপর কোন রক্ত থাকবে না
ওদের পা দুটো ঠিকঠাক থাকবে
ওদের সাথে ওদের বাবা, ওদের হারিয়ে যাওয়া ছোট আদরের বোন
ওদের মা, বৃদ্ধ দাদি, ওদের আদরের সন্তান
ওরা সবাই... ওরা সবাই দেখবে
কিন্তু জানো ওদের চোখে তুমি আর সেই আকুতি দেখবে না
যে আকুতি দেখে তুমি পালাতে
যে আকুতি দেখে তুমি ভুলে থাকতে চাইতে
খুঁজে খুঁজে কিছু যুক্তি পেতে।
আমি এখন শেষ করছি
কিন্তু...
কিন্তু শেষ হবে না সেই... সেই পরপারের দিনগুলো
সুখ কিংবা দুঃখের দিনগুলো
অনন্ত সময়ের দিনগুলো
সিমাহীন সুখ বা দুঃখের দিনগুলো
আমি শেষ করলেও
এ পৃথিবী, এ পৃথিবীর সবকিছুর একদিন শেষ হলেও
ঐ দিনটার কোন শেষ হবে না
চলতেই থাকবে
ঠিক সেই অবস্থানে
যেই অবস্থানটা আজ আমি, তুমি, ওরা আর তারাও
পাকাপোক্ত, শক্ত, মজবুত চিরস্থায়ী করছি
আমাদের ভিতরের ঐ পাথরটা দিয়ে...