কেন কোন ঘোরে পড়ে আছি অঘোরে,
সীমানার পথ শেষ হচ্ছে ধীরে ধীরে,
বারে বারে হতাশা আসে ফিরে ফিরে,
কী নিয়ে ফিরবো সে আপন নীড়ে!
তুমি তো চেয়ে আছো আমার দিকে ফিরে,
আমি তোমাকে দেখি দাঁড়িয়ে দুরে দুরে,
তুমি তোমার দুটি ঘরের আয়তনে আকারে,
দিয়ে চলেছো ভয় আর আশা উদভ্রান্ত আমারে।
আমি পড়ে আছি ঘরদ্বয়ের সীমান্ত প্রাচীরে,
জঞ্জালের ভীড়ে হারিয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে,
তবুও তুমি আদরে ডেকে যাও অধম আমারে,
অকৃতজ্ঞতায় ফিরিয়ে দিয়ে চলেছি তোমারে।
আমি ক্ষুদ্র অভদ্র অর্বাচিনের আস্তাকুড়ে,
নিস্তব্ধ নিরুদ্বেগ নিশ্চল রয়েছি পড়ে,
তুমি ডাকছো জীর্ণতা ফেলে ছুড়ে দুরে,
তোমার বানানো মনোরম সাজানো সুখের ঘরে।
হাই অভাগা আমি আজও নিশ্চল পড়ে,
তোমার দয়া ভালোবাসা আমার শরীরে,
চারিধারে দুরে অদুরে শহর গ্রাম নগরে,
আমি উঠিনি এখনো জীর্ণতা ঝেড়ে।
আমাকে গিলে খেতে আসছে অশুর তেড়ে,
তবুও তোমার দিকে যাইনি নিরাপদ নীড়ে,
তবুও হারিয়েছি স্বেচ্ছায় জঞ্জালের ভীড়ে,
তবুও চেয়ে আছো ছেয়ে ভালোবাসার চাদরে।
আমি নিরন্তর ছুটে পালাচ্ছি তোমাকে ছেড়ে,
তোমার নিরাপত্তার গণ্ডি থেকে দূরে বহু দূরে,
এড়িয়ে যাচ্ছি তোমার আবেদনময় আদুরে,
ভালোবাসার শেষ না হওয়া আহ্বান সুদূরে।
আমি তলিয়ে যেতে যেতেও বলিনি ওঠাও তীরে,
অলসতা অবজ্ঞা জড়তা গিলে খাচ্ছে ধীরে,
আমি তো এখনো বলিনি তোলো আমায় ধরে,
সীমাবদ্ধ আমি বলবো কীভাবে কি করে?
আমি চাইতেই পারি অসীম তুমি সসীম আমারে,
ভ্রান্তির গহ্বর থেকে সীমালঙ্ঘনের ওপারে,
নিশ্চিন্ত খেলাময় মায়ার জঞ্জালের আধারে,
অবাধ্য আমাকে টেনে তুলবে পরম আদরে।
আমি বলবো শেষহীন শুরুতে ডেকে তোমারে,
কত মায়ার কত দয়ার অপার ক্ষমতার অধিকারে,
মলিনতায় ময়লা কদাকার পাপী আমারে,
দিলে ছেড়ে প্রান্তহীন ভালোবাসার জগৎ প্রান্তরে।