আমি লিখি আমার হৃদয়ের কান্না কবিতায়,
আমার কষ্টগুলো ছন্দ হয়ে ভেসে যায়,
আহত হৃদয়ের ক্ষত কবিতায় প্রকাশ পায়,
চাপা কষ্টগুলো কিছুটা হালকা হয়।
আমি লিখি না ছন্দ মিলের বাহবা শুনতে,
আহা হা! আহা হা! ধ্বনিতে শূন্যে ভাসতে,
লিখি না আমি তোমার জন্য শুধু,
লিখি আমার ঘুণে ধরা বিবেকে কিছুটা নাড়া দিতে।
আমার ইমারাত ধ্বসে যাচ্ছে,
খুটিগুলো একে একে ভেঙে পড়ছে,
অস্তিত্ত্ব টলমল করে নিদারুন টলছে,
আমার বিবেক তবুও অঘোরেই ঘুমাচ্ছে!
ফিলিস্তিন আমাকে কাঁদায় না,
আরাকান আমাকে ভাবায় না,
সিরিয়া আমাকে জাগায় না,
কাশ্মির আমার ঘুম ভাঙায় না।
আমি; আমার জাতি; তল থেকে অতলে হারাচ্ছি,
তোমার দাড়ি আর পান্জাবীর বহর মাপছি,
আর ওরা? মাপছে তোমার আমার দূরত্ব,
অপেক্ষায় আছে, কখন আসবে তোমার-আমার একাকিত্ব।
তোমার লজ্জা হয় না তারাবির রাকাত গুনতে!
কোন লজ্জায় যাও আমিন বলার ফতোয়া শুনতে?
তুমি এত বেকুব কেন! এতটা কষ্ট কেন ভাবতে?
জীবন শেষ করছো থিওরী আর উপাসনা শিখতে।
বিশ্ব চালানোর বই দিয়ে তুমি পেট চালাও,
বইটা বুঝতে বললে তুমি ছুটে পালাও,
জীবিতের বইটাকে তুমি মৃতের ঘাড়ে চাপাও,
এসব করতে কি একটুও লজ্জা পাও!?
তোমাকে দেওয়া হলো বিজ্ঞানের তত্ত্বজ্ঞান,
দেওয়া হলো মানবিকতার শিক্ষা মহান,
কী দিয়েছো তুমি সে কিতাবুল হাকিমের মান?
তোমার মানবিকতার বহর দেখে হাসে হাইওয়ান।
ঘুণে ধরা বিবেক শেষ হওয়ার আগেই,
একবার ঘুরে দাড়াও।
কোরআনের গবেষণায় গোড়ামী ছেড়ে,
বিবেকের কর্ম বাড়াও।