বহু দিন; বহু দিন পরে-
তোমার সাথে দেখা নির্জন ঘরে।
রঙ্গে রঙ্গিন বর্ণিল জীবনে উদ্বেল হয়ে প্রতিক্ষণে খেটে যায় তোমার এখন।
আমি দেখলাম চেয়ে আকুল হয়ে মেলে দুই নয়ন।
নষ্টালজিয়া রূপকথার ভালুক,
আড়মোড়া ভেঙ্গে খুঁজে পেতে চায় সে কি মহাসুখ!
মনে হল গ্রীস্মের ভয়াবহ গরমে-
পরম প্রশান্তির বৃষ্টির ক্লান্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধের সংকল্প চরমে!
পত্রিকার পাতার মত নয়নে তোমার,
কত লেখা! কত খবরের সমাহার!!!
আমি বয়ঃবৃদ্ধ অভিজ্ঞ পাঠকের মত
ক্লান্তিহীন পড়ে গেলাম অবিরত।
তাতে, আছে কবির কবিতা-ছন্দ
আছে আবেগের প্রীতিময় দ্বন্দ্ব,
আছে গ্রীস্মের কাল-বৈশাখী ঝড়,
আছে রকমারি গল্প-খবর;
আছে আলো-আঁধারির ষোড়সী যুবতীর কামাশ্রিত লোক-লজ্জার ডর।
আমি বেকার মুর্তির মত অচল অসার।
বহুক্ষণের ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে মুখ খুললে এবার।
পাহাড় ঘেরা ঝর্ণার মত মায়াবী মায়াবী রূপে
আবৃত্তির মত বলে গেলে চাপা সুরে চুপে চুপে-
‘মূর্খ আহম্মক নপুংষক অথর্ব কোথাকার,
কাকের বাসায় কোকিলের ছাও এ কিই বা আসে যায় আর!’
এইবার পেলাম চৈতন্য, মনটা উঠল জেগে,
বললাম, ‘থাম থাম; পশু নই তো আমি!’ শান্ত হয়ে- না রেগে।
যে ভালবাসায় করা হয় আজরাঈলকে অবৈধ আহ্বান,
সেই কল্লোল থেমে যাক- হোক তার চির অবসান।