জীবনে শক্তির জন্য উপাসনা করিনি প্রভু,
না করেছি সিদ্ধির সাধ;
জ্বরাগ্রস্ত দেহমনে বাস করে পরজীবী প্রাণ -
বেঁচে থাকে মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,
দিনমান আহাজারি তোমারই কৃপার আশায়!
মরে গেলে দেহের রূপান্তর হবে কি কার্বন-কায়ায়?
সার হবে মিশে যাওয়া শরীর মাটির মায়ায়?
আত্মাকে পুণ্যাত্মা করে পাঠাবে কি নতুন জীবাধারে -
নিদেন কোনও মহীরুহ কিবা
সুরভিত ফুলেল বৃক্ষ করে?
অলীক ভাবনার বিস্বাদ তিক্ত করে মন;
কেন যে ছড়াস মুক্তো পথে যেতে যেতে?
এ যে বিশাল প্রান্তর, শুধুই শণের কানন -
আপন অনিরুদ্ধ মনের চিত্রকলায় জীবনের নির্বাসন।
তুমি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী, সর্বব্যাপী বিরাজমান -
তোমার অস্তিত্বই লালন করে যমীন ও আসমান;
আমি তোমার দাবার ঘুঁটি, হাতী ঘোড়া সৈন্য -
আমার বলে কিছুই নেই প্রভু,
কেবলই রয়েছে দৈন্য; আমি কি নই তোমার খেলার পুতুল?
তোমার ইচ্ছায় সমর্পিত, আমার কী ভুল!
জীবনে তোমার নৈকট্যের কামনা করিনি স্বজ্ঞানে,
দুরে থেকে কেঁদেছি অপ্রাপ্তির আহত অভিমানে।
সব কিছু দিয়েও তুমি দাওনি নিয়ন্ত্রণ,
সম্পর্ক দিয়েও তুমি দাওনি স্বজন!
ভোরের আলোয় জন্মেছিলাম এই পৃথিবীতে,
কোন লগ্নে না জানি পাঠবে কাকে কীভাবে আমাকে নিতে।
পরকালের ফসল ফলাতে কর্ষণ করেছি পাথুরে জমিতে
বুনেছি ভুলের বীজ
ফসল তুলেছি ধুতুরার ফল -
ভেঙ্গেছি লাঙল;
আমাকে নেবার আগে কাঁধ থেকে নামাতে দিও দণ্ডের-যোয়াল,
জানি সাজা তোমার কতটা ভয়াল;
বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিও প্রভু।
অসহায়, লাচার আমি -
তোমায় কি ডাকিনি কভু?