প্রিয়তমা শ্মশান-হৃদয়া
আবদুল্লাহ রাকীব
পন্যাঙ্গনা,
তোমার অভিসারে নক্ষত্র খসে পড়ে
রাতের অন্ধকার বিলম্বিত হয়, ভারি হয় ভোরের বাতাস
উন্মাতাল সম্ভোগ-স্রোত বয়ে চলে দেহে
চোখের সামনে থাকে অচেনা মুখের ছায়া
অচেনা গন্ধে ভরা মৌনতা ভাঙ্গে রমণীয়-শীৎকার
অস্ফুট শব্দ ঝরা কামনার গান
গেয়ে চলে মিথুন সময়।
তোমার দেহের ভেতর আছে যে হৃদয় -
শেখানে কি ভালবাসা রয়?
পথ চেয়ে বসে থাকা বড়-চেনা কারো মুখ
যেন মেঘে ঢাকা চাঁদের ছায়া
কামনার ঢেউ এসে চূর্ণ বিচূর্ণ করে
ভেসে যায় স্রোতে;
এখন নিধুবনে অনন্ত
তপ্ত নিশ্বাসে শুধু কামনার ঘ্রাণ
পেশীর কুঞ্চনে জাগে অগ্নিগিরি
উষ্ণ লাভার স্রোতে প্রতীক্ষার সখেদ সন্তরণ
কখন থামবে খেলা হটাৎ-স্খলনে ।
সাথী যায় সাথী আসে সংক্ষেপ-শয্যায়
রাধার কুঞ্জে ফুল, ভ্রমরের খেলা
বেলা-অবেলা;
নতুন নতুন মুখ জড়াজড়ি নতুন শরীরে
চুম্বনে মন্থনে চরম-পুলকে দাবানল জ্বলে
তুষার আবৃত করে নেভালে আগুন
প্রাণদ প্রেমের ফুল শেখানে কি ফোটে?
পরচছন্দানুবরতিনী তুমি
শ্রান্ত দেহ - তবু অতৃপ্ত অন্তর যাচে
বহু থেকে আর বহুজন
কামার্ত কিঙ্করী;
অন্তঃবৃত্তে দলিত দেহের তাপে জ্বেলে যাও চিতা
ধিকি ধিকি পুড়ে চলে প্রেমিক-হৃদয়
স্বৈরিণী প্রিয়তমা তুমি শ্মশান-হৃদয়া
পন্যাঙ্গনা ।।