আব্দুল হান্নান

হে পৃথিবী বলে দাও, তোমার বুকের মানুষ কেন অবিশ্বাসী?
কেন এত সংশয় আর মায়া জড়ানো কাঁন্না ?
কেন এত করুনার সুর আঁখি ভরা জ্বল তরঙ্গ ?
দাওনি কি তুমি জীবন সহাহ্নে একটু ঠাই ?
দাওনি কি জীবনের পূর্ন্তা ?
তবে কেন এত অবিশ্বাসী ?
কেন তোমার বুকে এত উত্থান পতন ?
কেন এত ধ্বংসের দামামা ?
মানুষ কেন এত অবিশ্বাসী? মেনে নিতে পারেনা,
তার ধরনীর আদর্শকে।
কেন তারা অবিশ্বাস করে মহামহিম দাতাকে ?
মানতে পারেনা আদর্শ্ বাদী মানুষকে।
বিশ্বাস নামের বস্তুটি কি তাহলে হারিয়ে যাবে ?
আজ পিতার বিশ্বাস নাই সন্তানের প্রতি,
সন্তানের বিশ্বাস নেই পিতার প্রতি।
স্বামী বিশ্বাস করতে পারছেনা স্ত্রীকে,
স্ত্রী বিশ্বাস করতে পারছেনা স্বামীকে।
জনগণের বিশ্ব‍স নাই সরকারেরপ্রতি,
সরকারের বিশ্বাস নেই জনগণের প্রতি।
আর এটাই বাস্তবতার নিরিখে মহা সত্য।।
অবিশ্বাসের মহা বন্ধনে আবদ্ধ আজ ধরনী।
দেশে দেশে ধ্বংস লীলা যুদ্ধ জিঘংসা,
সন্ত্রাস রাহাজানী আর মানব হত্যা।
আর্ত্ মানবতার প্রতি যুলুম অত্যাচার।
সবের মূলে রয়েছে অবিশ্বাস।
গায়ের রং হোক যতই ভিন্ন ভিন্ন
ভিতরের রং সবার সমান,
বিধাতাই দেন সবার অন্ন
সবে মোরা এক সমান।
হে মানব তবে বিশ্বাসে কেন ব্যবধান ?
কারণ আজ একটাই,
যে জন গড়িয়াছে যে যে যন্ত্র,
সে ই দিয়েছে তা চালনার মন্ত্র।
ভেবে কি দেখেছ হে মানব?
তুমি তো নও কোন দানব।
পঠিয়েছে তোমাকে যে বিধাতাই,
তুমি কি চলছো তার ইশারাই ?
কোন শয়তানের হাতছানী করেছে তোমাকে গ্রাস,
কারো প্রতি নাই কেন তোমার বিশ্বাস ?
যতই সাজো তুমি মহাসন্যাসী,
সফল হবেনা হলে অবিশ্বাসী