আব্দুল হান্নান
মুসাফির জাগ্রত হও,সোবহে সাদেক সমাগত,
ছাড়ো জুলমাত বিছানা,মন্থর করো অপসৃত।
মসজিদে মসজিদে ধ্বনিত ঐ ফজরের আযান,
সময় এখন তোররে মুসাফির তৌহীদে দে শান।
তোর তাকবীরে মুন্ডিত হবে,বাতিলের গর্দান,
তুই বাঁচলে গাজি মরলে শহীদ আল্লাহর মেহমান
জামাতে শামিল হও মুসাফির গাঠরী রাখো পিছে।
খোদার রাহের কর্ম ছাড়া,সবই তোমার মিছে।
তোলো দুই হাত,করো মুনাজাত বিধাতার দরবারে,
তুই মুসাফির তুই মজলুম,শুনা তোর আর্জি প্রভুরে।
না এখন আর তুই মজলুম না,না কোন মুসাফির,
এখন তুই বাতিলের আতংক, এক সিংহ মুসলিম বীর।
ভয় পেয়োনা,চিন্তা করোনা ভেবোনা কেউ নেই এ পথে,
রহমতের খাজানা নিয়ে,রহমান রহিম আল্লাহ আছে সাথে।।
মুসাফির ভাবোতো কোথায় তোমার গন্তব্য?
মনে হচ্ছে চেনা অজানা দ্বীঘাত সমীকরণে
দ্বিধা আর দ্বন্দের বেড়াজালে মত্ত মনোযুদ্ধে,
সংবরণ করো তোমার বিভ্রান্ত নাঙ্গা সমসের।
মুসাফির স্থির হয়ে শুনো ঐ ঐশী কালাম,
বায়য়াত নাও ঐ তাহতাশ শাজারতের ন্যায়।
মুসাফির শপথ নাও কন্টকযুক্ত রক্তভেজা সিরাত পারাবার।
মুসাফির একটু অপেক্ষা করো,ঐতো সুবহে সাদেকের আভাস,
সুবহে সাদেক পেরিয়েই মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ধ্বনিত হবে ফজরের আযান।
,একটু ধৈর্য্যধরো,প্রভুর দরবাবে অবনত সিজদাতে পেশ করো জালিমের বিরুদ্ধে আর্জি।
সাত তবক আসমান ভেদকরে আরশ মুয়াল্লাতে পৌছাক মজলুমের আর্তনাদ,
ফজর নামাজের পূর্বেই কাঁপবে জালিমের মসনদ,
ভোরের রক্তিম সূর্যের সাথে সাথে দাফন হবে জালিমের।
আগামী দিনের সূর্য্য উদিত হবে শান্তির বারতা নিয়ে,
একটু ধৈর্য্যধরো মুসাফির।
মুসাফির তোমার রঙ্গিনের প্রতি কেন এত আবেগ
মনে হচ্ছে দুনিয়ার সব কিছু তোমার কাছে রঙ্গিন
আসলে দুনিয়া রঙ্গিন নয়,তোমার চোখে নফসের রঙ্গিন চশমা পরা,তাই দুনিয়াকে রঙ্গিন দেখছো,
সতর্ক করছি মুসাফির, ফিরে এসো।।