--------শিশুদের আত্মা"
------দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
পৃথিবী নিতে চায় না আর তোমাদের ভার
হে নতুন শিশুদের আত্মা?
তোমরা যেখানে আছ থাকো  
সেখানে তোমরা অনেক ভাল আছো
এই পৃথিবীতে আর তোমরা এসো না
পৃথিবী এখন পাড় করিতেছে এক কঠিন সময়।
পৃথিবী ভুলে গেছে তার নিজের নাম
সে তার শান্ত মুখের রঙ হারিয়ে পাগল প্রায়,
হারিয়ে ফেলেছে তার সম্পূর্ণ জৌলস।
একদিন বাস যোগ্য ছিল
তরতাজা ছিল তার সবুজ যৌবন
সব কিছু হারিয়ে হাসি ভরা মুখ হয়েছে মলিন।  
চারিদিকে চেয়ে চেয়ে সে এখন জল ছেড়ে কাঁদে
তার কোলে থাকা নদী সব মরে গেছে,
মরে গেছে মাটির তেজ।

দুষ্ট মানুষের বিষের যন্ত্রণায় সমুদ্রের পানি-
কষ্টের শ্বাস ছেড়ে  তুলে প্রবাল গর্জন
তার কোলে থেকে খেয়ে পড়ে অনেক মানুষ
হয়ে গেছে ভূতের শয়তান।

রাক্ষস হয়ে পৃথিবীকে গিলে খেয়ে বিস্ফোরিত
করেছে পৃথিবীর বিনয়ী আত্মা-
ভূত রূপের শয়তান মানুষের যন্ত্রণা পেয়ে
পৃথিবীর অন্তর পুড়ে হৃদয় শূন্য হয়ে দুষ্ট মানুষের কাছ থেকে পথ খুঁজিতেছে পালিয়ে যাবার-
হৃদয় শূন্য হাহাকার তুলে অতিষ্ঠ হয়ে স্টক করে
ভেঙে করে চূরমার।
কবি বলে নতুন আত্মারা তোমরা ক্ষমা করো
যেখানে আছ সেখানেই থাকো
পৃথিবী তোমাদেরকে আগের স্মেহ দিতে পারবে না  
বলে,নিতে চায় না আর তোমাদের ভার।
পৃথিবী বলে তোমাদের মানুষেরা আমার খেয়ে আমার পড়ে বিস্ফোরিত করে কবর বানিয়ে
ধ্বংস করে দিয়েছে আমি পৃথিবীর সোনার সংসার।

আমার শিরা উপশিরায় রুধিয়ে রুধিয়ে বয় শুধু ক্রোধ
ভূতের রূপে শয়তান মানুষের লোভের শিকার,
শান্ত মানুষের দুঃখ দেখি আর শুনি শুধু-
তাদের অশান্ত চিৎকার।
-----------------------------------------------------------------------
প্রকাশিত জনপ্রিয়
সময় পত্রিকায়।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
-----------------------------------------