লাশের উপরে বসিয়া"
দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
নয়নে নয়ন রাখিয়া-দুনয়নে বসনও
বাঁধিয়া ওরে নিরুপায়? গগণপানে চাহিয়া
আর কতো রক্ত দিবেরে দুর্বল?
নিজের ভালমন্দ নিজেই বিহীত করো-
চোখের জল ছাড়িয়া কিসের লাগিয়া
আউলা বন্ধু?

নতিজা এতোই মন্দ,অন্যায়ের সামনে
কেনো এত বিনীত করজোড়।
ঔদ্ধত্য জানোয়ারদের মতো হয়ে গেছে
একদল মানুষ,
ভালমানুষের মর্মমূল কেটে দিচ্ছে-
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অগণিত মানুষ।
তাদের পরিশ্রমী হাতের মেহন্নত অপচয় করে
মুছে দিতে চায় ধরণীর লাবণ্য-
শুধু বারবার মনে জাগে একটি প্রশ্ন?
দেশে দেশে এতো যুদ্ধ লড়াই চলছে
প্রতিঘরে ময়দানে জঙ্গলে সাগরে ভূদুরে জলে।
মৃতদেহ থেকে জিহ্বা মুখের কান্না-
কে দিবে এক ফোটা জল,
অস্ত সূর্যের রাঙ্গা আলোয়
লাশের চিৎকারে কী,আসে যায়।

বড় নির্মম আহুতি চিন্নশির কাঁদে-
দিনে দিনে যেন পৃথিবীর দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে,
ভালমানুষের আর হবে না ঠাই-
ন্যায়ের দাবী মানছে না তাই,
যেখানে ন্যায্য পাওনা গরীব লোকের
মেটানো দূর আরও রক্ত চাই।
এ বাড়ি ও বাড়ী ঘুরে খুটে খায় ভাত
এমন জীবন সহেনা যে আর-
বনের পশুদল ক্ষুধায় কাতর
পেটের পতঙ্গ ভাঙ্গিতে চাহিছে স্বর্গদ্বার।
লোভীদের কাছে পৃথিবী জিম্মি
তাদের লোভের অন্ত নাই-
গরীব মেহন্নত করেছে ঘামের মূল্য দিবে
অল্প কিছু দিয়ে বলে যাও- আর কী, চাই।
ভিক্ষা চাইনি, চাইতে এসেছি ন্যায্য পাওনাটাই
মেহন্নতের নোনাজল গর্জে উঠে না
ক্ষুধার জ্বালায় শক্তি বিলুপ্ত প্রায়।
দেশে দেশে সিংহাসনে বসে আছো যারা?
আজ যদি গরীবের দুঃখ বুঝতে না চাও
কে বলো তেমাদেরকে বোঝাবে আর
দুঃখীনি মা কাঁদে বোন কাঁদে অগণিত জায়াদের
দুর্ভাগা কাহিনী কবি ছাড়া কে শোনাবে বারবার।
তোমরা দুষিত লোভী ওরে পাষাণের দল-
কান পেতে শোন?
অভিশাপ দেয় কবর আর শ্বসানযাত্রী
ক্ষণিকের সুখ সহচরী চেয়ে দ্যাখো ওরে
আগামী দিনের বসুন্ধরা ধিক্কার জানায়-
লাশের উপরে বসিয়া আর
কতটা সুখ কিনে নিবে হায়।
--------------------------------
প্রকাশিত কবি-
কবিতার ওয়েবসাইট।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
18 Feb 2017
at 04:30
--------------------------