-----দীর্ঘশ্বাস"
----দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
মন যা চায়'কখনও আকাশে বসি-কখনও
জমিনে কখনও তারায় বসি কখনও চাঁদে
মন যা চায়।
ঘুরেফিরে দেখি আমি অপূর্ব ভুবন,
দিন যায় রাত্রি আসে--
দিনরাত্রি নেমে আসে কখনওবা মঙ্গল
আবার কখনও অমঙ্গল।
অকস্মাৎ সুরসিন্ধু মঙ্গলও কীর্তন,
কত বক্ষে নেমে আসে বক্ষে লয়ে ব্যথা গুঞ্জরণ।
কত তারা নাচে গায়,আকাশদীপ জ্বেলে মঙ্গল মহিমা,
রূপ লাবণ্য জাগে-জাগে কতো শরতের প্রশান্ত নীলিমা।
রামধনু জেগে উঠে অস্ফুট চুম্বনে,
আকাশ জমিনে মুগ্ধ প্রেম আলিঙ্গনে,
বসে কত দেখি খেলা নয়নে তারার-
কতো অশ্রু যরেপড়ে সৃষ্টি হয় নবঘন পুঞ্জিত আষাঢ়।
মন যাহা চায়-
যৌবন এ-বয়সে'ছন্দময় সুর তুলি বাঁশুরী আনন্দে
মনের গভীরতল কখনো জেগে উঠে গোলাপি সুগন্ধে।
সাগরের ঢেউ যেমনি উঠে উতলি,
মনের আকাঙ্ক্ষা কত উঠে ব্যাকুলি।
কবি তুমি রচিয়াছ অপরূপ সৃষ্টির কবিতা,
জয়ের আনন্দ ছন্দে লেখা নেই কোন অলসতা।
বিধাতা করেছেন কবি আমার কল্পনা,
মন আঁকে সদা নিত্য, নব নব শুভ্র আলপনা,
সবুজ এই পৃথিবীর মায়ায় কখনো মহোৎসব করি
মর্ম্মরিত দুঃখীর এ- জগতে,
কতপ্রিয় চিরযাত্রী হয়ে যায় কেউ নেই সাথে।
তাঁদের ব্যথায় ব্যথিত বুকে করি বিচরণ,
গৃহ খালি বক্ষ খালি শোকেজর্জরিত নয়ন,
কখনও সাগরে বসি কখনও মঙ্গলে-
নিত্য আশা জেগে বুনি ফুলের ফাগুনী
হে আকাশ-হে-জমিন' আমি ও তোমাদের মত
মায়াবী কবি-প্রেম খিয়ালী,
দুঃখ সুখে রচি নিত্য,আনন্দের দীপ দেয়ালী।
মনজুড়ে সাঁজাই ব্যঞ্জনা দিয়া মনমধুর ভাষা,
যেমন রাত্রি শেষে নেমে আসে জ্যোতিম্ময়ী উষা।

সূর্য এসে দেখা দেয় নবজন্ম সন্তানের জন্মের উৎসব-
আলো পেয়ে শিশু হাসে, শিশুমন নিত্য কলরব,
এতপ্রেম একদিন ভেঙ্গে যায় স্বপ্ন খেলাঘর,
সাগর প্রলয় নাচে নিঃসম্বল করে ধরণীরে-
যতকিছু লিখে রাখি অবহেলায় ফেলে দাও ছিঁড়ে।
দুঃখে জর্জরিত,বিরক্ত,তৃপ্তিহীন পৃথিবীর ঘরে-
নিদারুণ হেলায় পড়ে ডুবে যাব সকলের ভীড়ে-
শ্বাস আয়ুর দেহ'খালি স্বপ্নের বিপনি-
মনবড় ভয়ংকর নিঃসাড় নিষ্ঠুর
জন্ম থেকে বসে আঁকি জীবন মৃত্যুর।
মনঘরে দগ্ধ করি বিষণ বিরহ জনম-
নিমিষেই নিভে যাবে রাজত্বের যত আয়োজন,
অকারণে ক্ষণিকের জল,ভগ্ন গাগরী-
আমার খিয়ালের দীর্ঘশ্বাস,পড়ে রবে বিদীর্ণ বাঁশরী।
----------------------------------
প্রকাশিত-------
কবি ও কবিতার ওয়েবসাইট।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
---------------------