-----চিত্কার
---দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী
হে যৌবনের সৌন্দর্য ধীরে ধীরে একদিন ঝরে পড়ে যাবে এমন সোনার যৌবনের অস্তিত্ব
তুমি হবে নিরব পাথরের মতো স্হবির
লোপ পাওয়া বিলীন বেদনায় ভরা শরীরের স্বাস্থ্য।
কোথায় হারিয়ে আজ সব কিছু
দুঃখের যন্ত্রণায় কাতর বিচ্ছেদে,
নিমগ্ন ছিলে দুনিয়ার লোভে পিছনের জিন্দেগি
চারপাশে কেউ নাই যেনো তিক্ত অফসল
একদিনের আনন্দ পিয়ালা আজ  
জমা হচ্ছে নিরব চোখের জল।

জীবিত হয়েও মৃত কতো তারতম্য
বান্ধবীর বান্ধব সঙ্গ নাই নৃত্যে মাতে না পুষ্পকুঞ্চ,
শরীরের শৃঙ্খলা নাই ডানার গতিময় চঞ্চলতা লুপ্ত
রাতের তারার খেলা দেখিতে পায়না আর
চোখের পাতা ঝাঁপসায় ছুঁয়েছে  আকাশ
নীল রঙ দেখে লাল,সবই আজ বিলুপ্ত।
এখনও হয়নি জীবনের শেষ
তবে কেনো এতো পার্থক্য
প্রজ্ঞার আয়নায় দেখতে পাওনা আপন সত্তা
দুনিয়া দেয় অবিরত ধিক্কার
শরীরের সুদিন স্নিগ্ধ বাতাসে
ছুঁয়ে স্পর্শ করিবে না আর।
দুঃখের তীব্র আঁচে যতই করো অস্তিত্বের চিত্কার,
তীব্র যন্ত্রণার শরীরের ছায়া পথে
স্বপ্নেও ছুঁইতে পারিবে না নীহারিকা আর,
কে এতো প্রত্যাশার আলো নিভিয়ে দিলো
জীবনের প্রান্তে এসে দিগন্তে তোমার।
যদি চিনতে পারও অবেলায় দিদারে ব্যাকুলতায়
হয়তো পাইলে পাইতে পারও মহান প্রভুর মহিমা  অপার।
---------------------------------------
প্রকাশিত কবি ও
কবিতার ওয়েবসাইট।
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
----------------------------------------+