মেঘলা আকাশ, ঠান্ডা বাতাস, বৃষ্টি নামার আগে;
তোমায় নিয়ে পুকুর ধারে, হাতের মাঝে হাত।
ঘাসের উপর খালি পায়ে, বৃষ্টি এলে ঝরঝরিয়ে;
গানের সুরে গুনগুনিয়ে ভিজতে বড়ো সাধ।
নিরাক পাড়া গ্রাম, স্তব্ধ বাতাস, ক্ষণে ক্ষণে ঝিঝি ডাকে,
মাথার উপর আকাশ ভরা তারার আলো, মধ্যখানে চাঁদ।
মেঠোপথের বাঁকের ধারে মেহেগুনির গাছের ফাঁকে,
সুপারি গাছের মাচাং পাতা, সেথায় বসতে বড়ো সাধ।
হারানো দিনের গান বাজছে, শো শো করে চলছে গাড়ি,
হাসি-খেলার বসেছে মেলা, কাঁধের সাথে কাঁধ।
তুমি আমি দেখছি পাহাড়, সবুজ শ্যামল বন-বনানী,
জিপ গাড়িতে দুজন বসে লং ড্রাইভে চলতে বড়ো সাধ।
উত্তাল ঢেউয়ে দুলছে সাগর, ঢেউয়ে ঢেউয়ে তুলছে ধ্বনি,
সূর্য তখন লালচে হয়ে অস্তগামী, দিচ্ছে বুঝি পানির নিচে ডুব।
সাম্পানগুলো ভিড়ছে তটে, ঢেউয়ের তালে দুলছে পানি,
এসময়ে তোমায় নিয়ে বালির তটে দাঁড়িয়ে থাকার সাধ যে আমার খুব।
একটু আগেই বৃষ্টি হলো, শান্ত হলো খরার ধরা,
পাখ পাখালি ডাকছে না আর, গাইছে না গান মধুর সুরে, আকাশখানি চুপ।
পাহাড় ঘেষে পাথর ধুয়ে নামছে বেয়ে ঝরনা ধারা,
সেই ধারাতে তোমার সাথে ভিজে ভিজে দুপুর কাটুক, সাধ জেগেছে খুব।