শত হাজার গরিব দুঃখী থাকছে উপবাস,
বিত্তশালী জানে না তা, করছে উপহাস।
সকাল কাটে কোনোমতে ক্লান্ত সারাদিন,
রাত্রি হলে ক্ষুধার জ্বালায় খুঁচায় ডাস্টবিন।
কতক আছে লজ্জা ভুলে হাতটি পাতে খালি,
রুক্ষ ত্বক, শুষ্ক চুল, জামায় জোড়াতালি।
খুধার জ্বালা কেমনতর জানে না ধনবান।
কেমন জ্বালা বুঝাতে তা ফিরে আসে রমযান।
বছর জুড়ে সকল স্থানে শয়তানের চক্রান্ত,
শয়তানি ফাঁদে অবুঝ হয়ে মুসলিম আক্রান্ত।
সামনে-পিছে, ডানে-বামে শয়তানের নানা ধোঁকা,
তাতেই সবে দিচ্ছে সাড়া সাজছে অবুঝ বোকা।
মুসলিম যেন মুক্তি পায় শয়তানি ফাঁদ হতে,
সারাদিনের রোজার শেষে প্রার্থনা করে রাতে।
এ মাসজুড়ে শিকল পায়ে বাধা পড়ে শয়তান,
বছর ঘুরে পাপ কমাতে ফিরে আসে রমযান।
হৃদয়জুড়ে পাপের শহর, পাপের বসবাস,
ভ্রান্ত পথে চলতে চলতে হলো সর্বনাশ।
নানান রকম পাপের ধরন বলা মুশকিল,
মগজ জুড়ে পাপের পোকা করছে কিলবিল।
এগারো মাস পাপ হয়েছে, বোঝা বড় ভারী,
পাপগুলো সব মোচন করা খুবই দরকারি।
পাপের বোঝা সরাই কেমনে? হৃদয় পেরেশান!
বছর ঘুরে পাপ মোচনে ফিরে আসে রমযান।
হতাশ যেন হয় না কেহ, পাপের বোঝার ভারে,
রবের রহম নাজিল হয় রাত্রি, দুপুর, ভোরে।
আসমানেতে রাত্রে চলে ক্ষমার আয়োজন,
দিনের বেলাও ক্ষমা আসে, চাওয়া প্রয়োজন।
না খাওয়া সব বান্দার জন্য বিশেষ পুরস্কার,
হাশর মাঠে দিবেন আল্লাহ, নিজ হাতে তাঁর।
প্রিয় নবি ক্ষমার কথা নিজ মুখে ফরমান,
বছর ঘুরে ক্ষমা দিতে ফিরে আসে রমযান।