সাদা কালো পাখাতে, ফড়িং এর মাথাতে,
যেই ধরি সেই যায় উড়ে।
প্রজাপতির ডানা ছুঁই, ঘরে বসে নাহি রই,
বার বার যাই পিছে তেড়ে।
কোনো এক বিকেলে, স্কুল হতে ফিরিলে,
মা বলেন যেন পরি শাড়ি।
আজ নাকি বিয়ে মোর, মাথা তাই দেয় ঘোর,
বইখাতা দিতে হবে ছাড়ি।
মানুষটা আঁটোসাটো, চুল নেই; নাক খাটো,
পেটে ভুড়ি দিব্বি বুঝি।
গ্রামে নয় শহরে, বড় বাড়ি বহরে,
কোটি টাকা শুনেছি রুজি।
লাল নীল শাড়িতে, নতুন এক বাড়িতে,
আজ হতে হলো মোর ঠাই।
অতীতের স্মৃতিসব, স্মৃতিমাঝে করে রব,
লুকানোর পথ কোথা পাই।
শুনশান বাড়ি খান, এক ফ্ল্যাটে দুই প্রাণ,
আর কেহ নেই বুঝি ধরাতে।
রাস্তায় যানজট, দিনভর খটখট,
না পারি মন মোর সরাতে।
উনি রাত বারোটায়, হেলেদুলে এসে যায়,
দশটায় চলে যায় সকালে।
সারাদিন একা একা, বসে বসে টিভি দেখা,
যেন এক বিধবা অকালে।
আসবাব ভুরিভুরি, কোটি কোটি টাকাকড়ি,
চাকরানি আসে রোজ বাসাতে।
কাজ করে চলে যায়, মোর সাথে কথা নাই,
লাভ নাই মোর তার আসাতে।
একদিন দুপুরে, মরি আমি ফাফুরে,
মন জানে কত ব্যাথা পেয়েছি।
বার বার বোধ হয়, মন মোর মোরে কয়,
ভুলভাবে ভুল স্থানে এসেছি।
কার সাথে কই কথা! চারিদিকে নিরবতা,
বুঝিবার বুঝি কেউ নাই।
থালে কিছু ভাত রেখে, দুই ফোটা বিষ মেখে,
মরিবার হলো সাধ তাই।