বড়ো অদ্ভুত তুমি!
যেমন হাজার রঙের বায়না,
তেমন তোমার হাজার রকম রূপ।
দোয়েলের সুরে তুমি বলো কথা,
কখনো হরিণীর মতো নিশ্চুপ।

সেদিন বৃষ্টিতে বিদ্যুৎতের মতো চমকিয়ে
আমার সামনে এসে দাঁড়ালে যখন,
কমলার খোসার মতো তুলতুলে গালে
তুলোর মতো হাসি; বরফশীতল দুনয়ন।
তখন, আমি নিশ্চুপ বসে শুধুই ভেবেছি,
এই তো সে, আজীবন আমি যাকে চেয়েছি।

আজ আবার আমার মনের হলো ভুল,
উদোম পায়ে নুপুরের শব্দ তুলে বারান্দায়
কিছু একটা করলে তুমি। বাতাসে উড়ছে চুল;
মুখে সেই চেনা হাসি। আমার নয়ন সরানো দায়।
মনে হলো যেন, কোনোও কাজ নেই এখন তোমার হাতে,
কাজের ছুতো নিয়ে আসো কেবল আমাকেই দেখা দিতে।

তুমি বড়োই অদ্ভুত!
বালকের সাথে বালিকার যে প্রেম হয়,
সে প্রেম কোনোকালে আমাদের হবে না আর।
অথচ, মাঝে মঝে তোমাকে আমার মনে হয়।
মাঝে মাঝে কেবলই মনে হয়— তুমি আমার।