চারিদিকে কেবল অন্ধকার! অন্ধকার! অন্ধকার!
আকাশ যেন মাথার কাছেই, হাত বাড়ালেই চন্দ্রদ্বার।
নদীর পাড়ে তুমি-আমি, ঝিঝি পোকার শব্দ শুনি,
শো শো করে বইছে বাতাস, পানির ঢেউয়ে কলকলানি।
ইচ্ছে হলো কবিতা শুনাই, বললে তুমি শুনবে না তা।
কবিতার পর ইচ্ছে ছিল তোমার কাঁধে রাখব মাথা।
ইচ্ছে সবই হঠাৎ করে এক নিমেষে গেল মরে,
রাত্রি আমার কেটে গেল মনের সাথে যুদ্ধ করে।
পাহাড় ঘেরা বন! যত দূরে দুচোখ যায়, গাছের পরে গাছ।
বৃষ্টি এসে ধুয়ে গেছে গাছের পাতা; দেখছি সবুজ সাজ।
তাজিং ডংয়ের মাথার উপর তুমি-আমি বসে আছি,
পুব আকাশে রংধনু; বেঞ্চের উপর দুকাপ চা হচ্ছে বাসি।
সাধের চা বৃথা গেল, বৃথা গেল সময়টুকু,
বৃথা আমার বাক্যগুলো, চা বানানোর কষ্টটুকু।
মনে মনে কান ধরেছি, বায়না আমি করব না আর,
ইচ্ছেরা সব দাফন হবে, খুলবে না আর মনের দুয়ার।
পূর্ণিমাতে হাসছে চাঁদ! ছোটো ছোটো মেঘের ভেলা,
পাখি হয়ে, পরি হয়ে, আকাশ জুড়ে করছে খেলা।
উঠোন মাঝে শীতল পাটি, আমি-তুমি চুপটি করে,
মধ্যরাতে শুয়ে-বসে, দেখছি আকাশ দুচোখ ভরে।
চাঁদের সাথে ভালোবাসা, তারই সাথে প্রেমের গান,
শুনাও যদি একটুখানি জুড়িয়ে যেত আমার প্রাণ।
দুচোখ ভরা আশা নিয়ে তাকাই যখন তোমার পানে,
তখন বুঝি, কিছু আবদারের নেই যে কোনো মানে।