আহারে সুখ! লুকিয়েছে কত দূরে!
কতদিন ছুঁই না তারে দুচোখ ভরে।
দুদিন চাঁদ ছিল না; তারাও ছিল না কোনো আকাশের গায়—
অন্ধকারের মাঝে আরেকটু অন্ধকার হয়ে দাঁড়িয়ে ঠায়
বলেছিল আমায় নিরুপায় হয়ে মৃদুস্বরে
‘চলো! হারাই দুজনে পৃথিবীর পরে জনমের তরে’।
একরোখা সুখ ফাঁকি দিয়ে একা,
চলে গেল দূরে না-দিয়ে দেখা।
একবার যদি সে আলোতে এসে দেখা দিয়ে যেত ক্ষণ,
সহস্র আলোর ভীড়ে অসুখের নীড়ে যখন করে বিচরণ—
তখন ঠিক তারে যেত ধরে রাখা।
অসুখের নীড় হতো সুখের শাখা।
এখন আঁধারের ধারে খুঁজি সুখ; করি জীবনের ধ্যান।
হৃদয়ের কোণজুড়ে কলকল ধ্বনি তুলে অসুখের ফেন।
সুখ ফিরে পেতে আঁধারের ঘোরে বদ্ধ ঘরে পরে থাকি; আসে যাতনা আবার।
চারিধারে থরেবিথরে ছড়ায়ে থাকুক কেবল অন্ধকার ; কেননা আমার—
হারিয়ে গিয়েছে প্রেম, পান্ডুলিপির লেনদেন;
দূরে হারিয়ে জীবনের শান্তি বনলতা সেন।