সেদিন তারে হঠাৎ করে দেখেছি যখন,
চাঁদ বরণ মুখের উপর অন্ধকারের পরন।
আগে তারে দেখতাম চাঁদের আলোর মতন,
মুখের উপর উজ্জ্বল সাদা হাসি নক্ষত্র যেমন।

দুঃখ কখনো সাহস করেনি তারে ছুঁয়ে যাওয়ার,
হঠাৎ কবে কোন ক্ষণে সাঁধ হলো তার,
অবুঝ নারীর মতন, পুরুষের প্রেম পাবার।
সেই ক্ষণ হতে চাঁদ মুখের হাসি গেল ছুটে, মন হলো ভার।

হরিণীর কালো চোখ দুটো কেমন যেন ভিজে গেছে,
বৃষ্টির আগে যেমন মেঘ জমে আকাশে,
তেমন জমেছে মেঘ চোখের কোণের সারাটায়
এই বুঝি ঝরঝর করে নোনা পানি ঝরনা ঝরায়।

আমাকে দেখার পর অতিদ্রুত চলে গেল আড়ালে,
পাছে তার অন্ধকার বিবর্ণমুখ যদি দেখে ফেলি ভুলে।
অথচ সমস্তই আমার চোখে ধরা পড়ে গোপনে,
তার কষ্টে প্রেম না জাগলেও, ব্যথা জাগে ঠিকই এ মনে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার কবিতায় ঠিক আমার কথায়
বলেছিলেন— ❝আমি এমনভাবে পা ফেলি
যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে।
আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।❞
অথচ একটি মেয়ে আমায় ভালোবেসে কষ্ট পাচ্ছে,
আর একটি মেয়েকে ভালোবেসে আমি।