এই ধানক্ষেত, শালিক, শঙখচুড়ের দেশে
হাজার বনলতা ঘুরে বেড়ায় পথে ছদ্মবেশে।
অশ্বত্থের এই দেশে লাল নীল শাড়ি পরে,
আলতা পায়ে হাটছে তারা হাজার বছর ধরে।

সহস্র পথ ঘুরে এসে সহস্রের মাঝে এসে
একজনার চোখের ভাঁজে গিয়েছি ফেঁসে।
কী দারুণ সে চোখ! মিটিমিটি জ্বলে তারার মত
বাতাসের স্রোতে ভেসে যাওয়া ফুলকি শত।

বনলতা না ডেকে আমি ডাকি তাকে সুস্মিতা।
তপ্ত বালুর চরে শাদা কাশফুলের যেমন হাসি,
তেমন শাদা হাসি তার ওষ্ঠে থাকে সদা;
কিংবা যেন হিজল বিলে ফোঁটা পানাফুল একরাশি।

ভালোবাসাহীন দেহ মৃতের মতন
উপুড় হয়ে পড়ে রয় মেঝের 'পর।
ঝড়ে পড়ে থাকা কলাগাছ অযত্ন যেমন,
তার 'পর বিচিত্র কেঁচোরা এসে বাঁধে ঘর।

হিজলের এই দেশে তাই বেসেছি ভালো প্রাণপণে।
সহস্রের ভীড়ে এ খবর ছড়িয়েছে সবখানে।
অশ্বত্থ, বট, নিম, জারুল, শিমুল সকলেই গেল জেনে,
কেবল সুস্মিতার কাছে এ খবর যায়নিকো কোনো ক্ষণে।