তোমরা আমাকে ভালোবেসেছিলে হৃদয় গভীরে,
ছেলেবেলার ডোবা হতে শুরু করে বড়বেলার সাগরে,
যখন সূর্য কেবল উঠি উঠি করে শীতের কুয়াশায়,
ঘাসেরা সব ঝিকিমিকি আওয়াজ তুলে শিশির ফোটায়,
তখন আকাশ যেমন আপন করে নেয় লালিমা সূর্যকে,
তোমরা তেমনই আপন করে টেনে নিয়েছিলে আমাকে।
তোমরা আমার থেকে দূরে সরেছিলে কোনো এক সন্ধ্যায়,
সম্ভবত গ্রীষ্মকালে কাঁঠালপাকা কোনো এক ভ্যাঁপসায়,
যখন নিস্তব্ধতা নামে, ঝিঁঝিঁপোকার আওয়াজ যায় থেমে,
কৃষাণ কুয়োর জলে দীর্ঘস্নান সেরেও আবার যায় ঘেমে,
তীব্র গরমে চাঁদের আলোয় মানুষ যেমন ছাড়ে আপন ঘর,
তোমরা আমাকে তেমন করে ছেড়ে দিয়ে করেছিলে পর।
নিশিথে যখন চারিধারে নিস্তব্ধতা, থাকবে না কোথাও আলো,
অন্ধকার ঢেকে যাবে আরেকটি অন্ধকারে, চারিদিক নিকষ কালো,
যেদিন কোনো প্রদীপশিখা আলো দিবে না কোনোখানে,
কেবল আমার চোখে জ্বলবে আলো, তোমরা তাকাবে চক্ষু পানে,
সেদিন আবার হবে দেখা পৃথিবীর বুকে তোমাদের সাথে,
পৃথিবীর কোনো শহর কিংবা গ্রামে, নদীতটে কিংবা সমুদ্র পাড়ে।