নয়নে তব গুপ্ত প্রণয়ের চাহনি;
গলাতে তোমার সপ্তছরির হার
এ যেন ঝিনুকের মুক্তার রাশি-রাশি।
হৃদয় তোমার মুক্ত গোলাপের লাল কলি;
কন্ঠ তব যেন কোকিলকন্ঠী —
চুল তোমার জোস্না রাতের নক্ষত্রের ঝিকিমিকি স্তুপ;
ঠোঁটে তব গোলাপি পাপড়ির হাসি,
যেন টলমল করিতেছে শীতের সকালে সবুজের ভূকে
এক বিন্দু শিশিরের কণার মতো।
তব দন্ত যেন একরাশ মুক্তা'র সদৃশ।
তব হস্ত কারুকার্য সুনিপুণ,
যেন বাবুই হারিয়া গেছে তোমারই কাছে ।
তব প্রেমের'ই টানে —
ঘর হইতে বাহির করিয়া আনিয়াছো মোরে।
সু-নিপুণা !
আমি খুঁজিয়া ফিরিতেছি তব কত-শত সমুদ্র,
নদী-মাঠ পানে; খুঁজিয়াছি আরও বাংলার ত্রস্ত নীলিমার কোণে।
আমি দেখিয়াছি তারে ?
তাহরে! ক্লান্ত রাতের বিভোর স্বপ্নেরই মাঝে।
আরও দেখিয়াছি কতো ইহারে
জোস্না রাতের অন্ধকারে তারাদের সাথে, কি অপরুপ সে ?
যেন তার রূপে আলোকিত করিয়াছে মোরে।
আমি ধরিতে চাহি তাহারে ? —
তারে! সদা ধানসিঁড়িটির তীরে।