দুরন্ত দুরাকাশে নক্ষত্রেরা ঝিলিমিলি
করিতেছে আজ এ ভুবনেরই মাঝে এ হৃদয়ের মাঝে।
মনে হয় ডাকিতেছ আজি ?
এক্ষণে তাহাদেরই কাছে;
তাহাদের সাথে ! কোনো এক কোণে ?
ফুরাবে আহ্লাদ, এ ধরার রণ তক্ত সফলতা;
ঘুমায়ে রব আমি বাংলায় সবুজের মাঠে কোনো কোণে,
একা কোনো ক্ষণে ?
সাথে রবে আপন কর্ম —
রহিবে শত স্মৃতি !
কুয়াশার বুকে ক্লান্ত সকালের আনাগোনা;
মনে রাখিবে মোরে এ দেশের তরে,
তাহারে ভালোবেসে বিলিয়ে দেবো নব তাজা প্রাণ;
নিচু করিবোনা তারে ?
তাহারে ! সদা রেখে যাবো তার মান।
এ ধরায় যত গুনীজন গুণবান নর-নারী,
অমর হয়ে রহিয়াছে তাহারা কিসের কর্ম করি ?
কেহো দিয়াছে বুকের রক্ত কেহ দিয়াছে আড়ি ?
আড়ি দিয়ে করিয়াছে জয় দুষ্কৰ্ম স্বেচ্ছাচারী;
কলম ধরে লিখিয়াছে কেহ অনুচিত কৃতকর্ম,
হাতে তুলিয়াছেন রন তুর্য,
কন্ঠে তুলিয়াছেন সাম্যের সুর,
সে যে দামাল ছেলের কামাল নুরু।
কেউবা গড়িয়াছে অমর সব সাহিত্যের যত স্মৃতি;
মানুষের তরে নিবেদিত প্রাণ থাকিয়া গড়েছে কৃতি।
মানুষের মাঝে জীবিত তাহারা মৃত্যুকে করিয়াছে পরাভূত,
সুধা ভাগ তারি না পেয়েও তাহারা রহিয়াছে চির-জীবিত।
আমিও হতে চাই তাহাদেরই মতো —?
কামনা করি তাহারই কাছে হে প্রভু রহমান;
মানুষের তরে থাকি যেন সদা, থাকে যেন মন ও প্রাণ।
সদা সুখে থাকি যেনো সবে,
কভু সংকট নাহি আসে,
আসিলে শক্তি দিও হে প্রভু আল-ওয়াহহাব।