চারিদিকে খরখরে,ঝরঝরে ঝিলমিলে রৌদ্র;
উত্ত্যক্ত এ জন-জীবন,
চারিদিকে হাহাকার করছে প্রান্তিক কৃষকেরা;
যেন ঝিরঝির বন-বন করছে।
মাঠ-ঘাট চারিদিকে খাঁ খাঁ করছে,
অম্বর-পবনবেগে কী যেন বলছে ;
শুধুই মনে হচ্ছে,এ প্রকৃতি এ ভূলোক —
কী যেন জানান দিচ্ছে ?
হঠাৎ স্তব্ধ !
চারিদিক তিমিরপুঞ্জ ছেয়ে যাচ্ছে,
হঠাৎ করে বায়ু যেন দ্রুতবেগে হচ্ছে;
বিটপ গুলো যেন থরথর-ভয়ে-ভয়ে কাঁপছে;
গগনে মেঘ রাশি গর্জনে হাঁকছে;
বরষা গুলো যেন রোষাগ্নিতে ঝরছে।
শুধুই মনে হচ্ছে এ ভূলোক —
কী যেন জানান দিচ্ছে?
একদিকে তরু-লতা পুলকিত হচ্ছে !
বৃক্ষচর যেন গাছে-গাছে নাচছে;
বিহঙ্গ গুলো যেন স্বস্তিতে ডাকছে।
তবুও মনে হয় !
পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরতর ব্যাধি মানব;
চলিতেছে বহন করিয়া অনাদিকাল ধরে।
আমাদেরই কর্মে, গাছপালা, নদী-নালা
সময়ের স্রোতে যেন বিলীন হয়ে চলছে।
শুধুই চলছে অন্যায় হাহাকার !
সৎ ব্যক্তিক ও যেন সময়ের প্রতি-ক্ষণে অসৎ হয়ে চলছে।
প্রসিদ্ধি ব্যাক্তিও সময়ের প্রতি-ক্ষণে অনাদৃত হচ্ছে;
ধনীরা কাঙাল দের লুণ্ঠনে চলছে।
মনে হচ্ছে, যেন অধিক উঁচু ইমারত গড়ার প্রতিযোগিতায় নামছে।
এ-মন উৎকণ্ঠিত !
শুধু ভাবছে, এ ভুবন কী যেন জানান দিচ্ছে ?
লেখা-পড়া আঁকাবাঁকা চারিদিকে ছ্যাঁকা-বাঁকা
এভাবেই দিনগুলো চলছে;
অশান্তি কোলাহলে প্রত্যহ,
প্রতি-ক্ষণে কেনো যেন ফুলে-ফেঁপে উঠছে ?
মনে হচ্ছে, চারিদিক যেন সময়ের প্রতি-ক্ষণে তিমিরপুঞ্জ ছেঁয়ে যাচ্ছে।
তবুও এই ধরণী —
দুদণ্ড শান্তি দিচ্ছে !
নির্জন দ্বীপের পাশে নাবিক-হীন জাহাজে বসে আছি একা,
অম্বরের নক্ষত্রগুলো মিটিমিটি জ্বলছে,
চাঁদ-মামা হেঁসে-হেঁসে কী যেন বলছে ?
মনে হচ্ছে, চাঁদ-মামা বলিছে,
শোনো মানব সৎকর্ম করো;
অহমিকা পরিত্যাগ করো;
অতিশয় লোভ বিসর্জন দেও; অপরকে সম্মান করো।
দেখিবে তাহারি প্রকাশে সবকিছু চলিতেছে ঝরঝর।
— ১৯ শে ভাদ্র, ১৪২৯ - শরৎকাল।