আপাতত তোমার কোনো নাম নেই,
আমি চিনি শুধু তোমার সত্তাকে,
অন্তত চিনতে চেয়েছি পুরোটা সময় জুড়ে,
একটা শঙ্খচিলের মতো চঞ্চল সত্তা!
তুমি চেয়েছো কি! শুধুই হারাতে?
অথচ বারবার নিখোঁজ হয়েছি আমি,
চেষ্টা করেছি অন্তত! শেষমেষ বুঝেছি-
হারানোর মতো খুঁজে পাওয়াও দামি।
তুমি বলো,
তোমার নাকি ফেরার মত ঘর নেই কোনো!
তবে, পদ্মপাতার জলের মতো গড়িয়ে পড়ো কোথায়?
শিশির হয়ে ঝ'রে পড়ো, শিউলি ফুলের মায়া ছড়াও,
প্রবল শীতে আঁকড়ে ধরো, অন্তরালে বাসা বাঁধো-
এক নিঃসঙ্গ বৃক্ষের বুকে, কান পেতে শোনো!
তুমি বলো,
মৃ ত্যু বলে কিছু নেই!
তবে, নিজেকে না জেনে বেঁচে থাকাকে কি বলে?
আমি বলি, আমরা দু'জনে সেই-
ইউটোপিয়া পৃথিবীর ভাবলেশহীন বাসিন্দা হলে-
মন্দ হতো না। মৃ ত্যু হতো মিথ্যে, তোমার কথাও সত্য হতো!
আপাতত তোমায় আমি নানান নামে ডাকি,
সেসব তুমি জানো না, খুব গোপন করে রাখি!
সত্য-মিথ্যে ধার ধারি না, ভেতর ভেতর দারুণ রোষে-
শঙ্খচিলের আকাশ হয়ে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পুষে;
ঘাসের উপর শিশির ছুঁয়ে, মৃ ত্যু নিয়েই থাকি।