আজ থেকে অনেক বছর পরে
হঠাত যদি দেখা হ’য়ে যায় কোনোখানে,
তুমি কি থমকে যাবে?
ফিরে যাবে শব্দহীন পায়ে?
নাকি অতীতের হাত ধ’রে-
চেয়ে দেখবে পুরনো সূর্য,
ঘন মেঘে ঢাকা চাঁদ;
নতুন করে দেখবে ফেলে আসা পথ,
একে অপরের মন ভোলানো হাসি,
প্রথম ছোঁয়ায় নেশাছন্ন চোখ;
নাকি তুমি দুঃখ পাবে?
চোখ বুজে অনুভব করবে অন্ধকার?
যেমন এক সন্ধেতে প্রথম অনুভব করেছিলে-
আমার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে;
স্পষ্ট ভেসে উঠবে সব।
জেগে উঠবে প্রথম প্রতিজ্ঞা,
নির্ভরতা, শান্তির আশ্রয়,
নিবিড় ঘন আলস্যে মাখা দুপুর;
জেগে উঠবে মুহূর্তরা।
তুমি কি ক্ষনিকের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে-
এত বছর পরে ?
পরিণত চোখে তাকিয়ে দেখবে একটিবার?
চুলের রুপোলি আভায় প্রতিফলিত হবে-
সব চাওয়া পাওয়া হারানোর হিসেবনিকেশ।
তুমি পেয়েছ সাজানো ঘর,
আমি অনিশ্চিত পথে চলার মুক্তি;
তোমার জীবনে রয়েছে সংগাবদ্ধ সম্পর্কের জট,
আমার রয়েছে নামহীন,বর্ণনাহীন সম্পর্কের মায়াজাল;
তুমি চেয়েছিলে শান্তি, পেলে বন্ধন;
আমি চেয়েছিলাম স্থিতি,
আমাকে বেঁধে ফেললো অদৃশ্য কোন এক বাঁধন।
তুমি খুঁজেছিলে আশ্রয় ,
পেলে লোক দেখানো চার-দেওয়ালের আড়াল;
তুমি চেয়েছিলে কানায় কানায় সুখ
কিন্তু ঝলসে গেলে অবিশ্বাসের তাপে।
আমি তোমাতেই খুঁজেছিলাম আশ্রয়,
পেলাম অন্তহীন একাকিত্বের খোঁজ;
তোমাতেই পেয়েছিলাম সব সুখ,
হঠাৎ হারিয়ে গেলে,
পুরনো স্মৃতি কড়া নেড়ে যায় রোজ।
এর পর আর কোনো প্রশ্ন নেই,
জানি তুমি থমকে দাঁড়াবে আজ;
তোমার যা আছে, তা তোমারি রয়ে যাবে,
আমার শুধু স্মৃতিটুকু থাক।
© অবন্তিকা সরকার, ২০১৩ (৫ই, অগাস্ট, ২০১৩)