লাঙ্গল-জোয়াল-মই কাঁধে আর
যায় না কৃষক মাঠে,
এসব এখন মেলা যে ভার
গ্রাম গন্জের হাটে।
হাল বাওয়ার সেই বলদ জোড়া
কেউ পোষে না আর,
গাই দোয়ানো বালতি ভরা
এসব হয় না আর।
সূর্য উঠার আগেই যে হাঁক
ডাকতঃ চাচা মিঞা,
গাঁতা করে বাইতে আর হাল
যায় না সঙ্গে নিয়া।
কলার ফাতর পাঁচুন হাতে
চারার ক্ষেতে যাওয়া,
কয় আঁটি কে বাঁধছে গণি
নেই আর পান্তা খাওয়া।
খেসারি আর কলাই মাঠে
গরুর বাতান করি,
কুইড়ার ভেতর শীতের রাতে
থাকত পালা করি।
সাত মাইল দুর গন্জে যাওয়া
পথ যে পাঁয়ে হাটা,
বাবা দাদার সেই গর্ব পাওয়ার
ছিল বুকের পাটা।
গাঁয়ের পথে চলতে যে আর
পায় লাগে না কাঁদা,
পিচ ঢালা পথ মোড়ানো তার
ইট দিয়ে শান বাঁধা।
বাংলা আমার শস্য ফলা
পলি মাটির দেশ,
গ্রাম-ই আমার চির চেনা
সবুজ বরন বেশ।।