ইয়াকুত-জওহর-স্বর্ণে গড়া সোনালী প্রাসাদ,
চোখ মেলে যতদূর যায় দেখা, দৃষ্টি অবাধ!
গগনচুম্বী প্রাসাদ মাঝে হেঁটে বেড়াই,
প্রসন্নচিত্তে মনে করি প্রভুকে সদাই।
ঐ যে ঝলমলে নীলচে-সবুজ মাঠটার ওধারে,
চলো ঘুরে আসি মুহূর্তেই, বাহন পঙ্খিরাজ ঘোড়া!
প্রিয় বন্ধুরে দেখিনা কতকাল ধরে!
আমার দামী পোশাক আর, পানীয়টা সুবাসে ভরা!
চিরবর্তমান হালে কেটে যাচ্ছে অফুরন্ত সময়,
মনে নেই কোন চিন্তা, নেই হারাবার ভয়!
প্রায়ই মনে করিয়ে দেয় তারা,
কী কী হয়েছিল, আমার আগের কর্মরা-
ভীড় করে; কত আগের স্মৃতি, কেমনে চলে গেলো!
এমন ক্ষণে মনে করি তারে, সেই বন্ধুরে, কই হারালো!
পৌঁছে তার ধারে, বলি, আমায় ভুলেই কি গিয়েছিলে বুঝি?
জানো, তোমার বিরহে ধরাতে কত অপেক্ষায় থেকেছি রোজ-ই!
আজ চলো প্রাণ খুলে বলি কথা, আড়ালে ফেলি প্রশান্তির শ্বাস,
তারিয়ে তারিয়ে বলবো কথা, মিটিয়ে মনের আশ।