তোমার ধনুক আমার দিকেই তাকিয়ে আছে
তবুও আমি আকাশ পাঠাই হাসির মাঝে,
নিন্দা তোমার ছন্দে আমার ভাঙছে সেতু
তুমি ওয়াটার্, আমিও পানি সবার মাঝে।
ভালোবাসার কেমন চিঠি রানার আনে
এনভেলাপেই মনসা কাঁটার তিলক টানা,
তবুও আমি হাসছি দেখো লাগাম ছাড়া
তোমার তিরটা ভীষণ জোরেই আঘাত হানে।
সব জোচ্চোর পেটের দায়ে মাথাই খাটায়
সবার কী আর চাষার মতন তাগদ্ আছে,
লভ্যাংশে তোমার বালিশ ঝনাৎ করুক
আমার কাঁধে আমার লাঙল তোলাই আছে।
খুঁড়ছি মাটি উঠবে জানি সোনার ফসল
আসল সবই সুদের কাছেই থাকুক ঋণি
আর যাই হোক মোর কারণে নিদ্রা গেলে!
আজও আমি পূণ্য-পাপে ভীষণ মানি।
সুগন্ধ আর দুর্গন্ধের তফাৎ কী সে?
আনন্দেতেই সব লোকে কেন বেবাগ হাসে?
বললে না কেউ বার্লোচক্র কোথায় থাকে!
কাজ নেই তাই চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে?
মঙ্গলকাব্য লিখল যারা দেবীর নামে-
সেখান থেকেই জন্মালো কি সকল দেবী?
মহাবিশ্বে এমন নিয়ম বাঁধল কে বা?
আমার মাঝেই কেমন করে আমার ছবি?
এমন প্রশ্ন জাগলে বুঝি নয় স্বাভাবিক!
কষ্ট করেই গিলছে সবাই যেমন আছে।
নিয়ম কানুন ভাঙছি বলেই এই অভিমান!
তোমার ধনুক আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
সুগন্ধি ফুল আজও ডুবে দেবের দেনায়
গন্ধ বিহীন পলাশ তবু মাথায় মানায়,
চেষ্টা চালাও ভাঙবে হাঁড়ি, বাজার-হাটে-
তোমার চাবুক আমার পিঠে স্পর্ধা আঁটে।।