আমাকে দেখে কী লুকোলে তুমি?
ওই আঁচলের তলায় যেটা আড়াল করলে
                            সেটা পাহাড়? নাকি সমুদ্দুর?  
তোমার সহাস্য চোখে হুমড়ি খেয়ে পড়ল আকাশ
তোমার নিঃশ্বাস বেয়ে ছুটে চলেছে রাজধানী এক্সপ্রেস।
এ তো রাগ নয়? এ তো অভিমান নয়?
তবে কি লজ্জা? ভয়? নাকি অভিনয়?
   এ যেন দুরন্ত হরিনীর পলকে থমকে যাওয়া,
   এ যেন উড়ুক্কু মাছের বড়শিতে গেঁথে যাওয়া।
রক্তিম আভা নিয়ে এ যেন অস্তাচলের ইঙ্গিত!
  কোন যাদু বলে হল তোমার স্তিমিত কিঙ্কিণি?
        আমার অলক্ষ্যে কী লুকোলে তুমি?
          একটা গোটা পৃথিবী?
  তোমার সুখ? নাকি আমার মৃত্যু?
        আচ্ছা তুমি কি গোপনে বিড়াল পুষেছ?
তবে তো রান্নাঘরে ঢুকবে, লণ্ডভণ্ড করবে সবকিছু।

         বিষাদে আমার বুক আলকাতরা যেন
    দেখাও! শোনাও! প্রণোদনা দাও!
আমি আবার সব ঝেড়ে আপিসের কাজে চলে যাই।

      তোমার ঠোঁটে এমন ফাটল কেন?
তোমার মোবাইলে এত পাসওয়ার্ড কেন?
  ঘন্টায় ঘন্টায় চুল কাটার হিড়িক কেন?

যে পদধ্বনি শুনেছি আমি আসন্ন প্রহরের-
   সেখানে ম্লান হয়ে আসছে একটি প্রাণ।
কখনো মরীচিকা আবার কখনো চোরাবালির ভয়
   স্রোতে আর গতি নেই,
       নদীর জলের মধ্যেই লেগে গেছে গৃহযুদ্ধ।
সারারাত ধরে আমাকে লুকিয়ে
                         কার স্বপ্নে গেলে তুমি?

      আমাকে দেখে কি লুকোলে তুমি?
দেখো ভালো হবে না।
  আমার সামনে নিয়ে এসো,            
                     আমি নেড়ে চেড়ে দেখি।