একঝাঁক বিষন্নতার ভারে যখন শরীর নুইয়ে পড়ে,
যখন আবেগের বাচ্চারা পাঁজরে হট্টগোল বাধায়,
যখন মন দেহের পরাধীনতায় বিদ্রোহী হয়ে ওঠে,
আমি ছুটে যাই লক্ষ ক্রোশ দূরে -
তোমার আমার অতীতের ছাপ রেখে আসা
নিষ্প্রাণ স্মৃতির উঠোনে ।
লাইনের ধারে, গাছের ছায়ায়, নির্জন গলিতে
থমকে থাকা অদৃশ্য যুগল,
মনে করিয়ে দেয় হারিয়ে
যাওয়া কথোপকথনের অন্তরা টুকু ।
কিলোমিটার ব্যবধানের অস্বচ্ছ বাক্যগুলো
পরশু কিংবা তরশুর ঘরে অধিকার বসায় ।
অবিশ্বাস্যের তলানি ছোঁয়
তোমার হারিয়ে যাওয়ার সত্যতা ।
মনে হয় এই তুমি ডাকলে হয়তো,
অথবা, দৃষ্টি রেখার পাশে
আবছা পেরোনো মানুষের মধ্যে
হয়তো তুমি এলে ।
ঝটকায় ঘাড় ঘোরানো গুলো বেগার দিতে থাকে,
শত শত পা হেঁটে চলে যায়-
তুমি আসো না...
বসে পড়ি তোমার পুরানো মেষ বাড়ির দাওয়ায় ।
তাসের ঘরে যত্নে আগলানো আশার প্রদীপ
বার্তা লিখে দেয়-
বিনুনিদের আড়াল হতে শত ব্যস্ততায়
এলোচুলে আসবে স্নানের শাড়িটা শুকোতে ।
কতো নিখুঁত ,কতো নিপুণ আশার তেল ছবিটা ।
প্রহরের পর প্রহর পেরিয়ে যায় ,
তুমি আসো না !
ক্লান্ত আবেগগুলো শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,
আমি ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে ঘরে ফিরে যাই ।
তবুও প্রত্যাশারা সাহারার প্রান্তরে
আশার চারা বোনে ,
আমি আবারও আকাশের তারা ছিঁড়ে
মালা গাঁথতে বসি,
জ্যোৎস্না কালিতে ডায়েরির নতুন পাতায় ,
মন রাখা দুটো কথা প্রশ্নাকারে লিখে রাখি -
নীহারিকা,আবার হবে তো দেখা?
রচনাকাল- ১৫|১১|২০১৯