অল্প একটু রাইত হইলে
সবাই যখন বেঘোরে ঘুমায়
আমার কীবোর্ড তখন খটাস খটাস শব্দে
উঠানামা করে।
আমার মগজে তহন চলে নানান রকম চিন্তা
মেলা আগের স্মৃতি আবার অল্প কয়দিন আগের স্মৃতি
বেবাক আইসা মাথায় জড়ো হয়।
.
এইতো কয়দিন আগে ছাদের উপর শুইয়া
মেঘের লগে কথা কইতে ছিলাম-
আমার একটুখানি জীবনে সন্ধ্যা রাইতে এমন আকাশ
আর দেহিনাই যট্টুক মনে পড়ে।
দেহি ঘন নীল একটা আকাশ তব্দা খাইয়া আছে
হের উপর দিয়া সাদা সাদা পেজা পেজা তুলা
খালি দৌড়ায়া দৌড়ায়া কই জানি যাইতাছে,
আমি জিগাইলাম- কিরে তোরা দল বাইন্ধা
এমন তাড়াহুড়া কইরা কই যাস?
তারা আমারে উত্তর না দিয়া প্রশ্ন করলো,
কইলো- চল, যাবি নাকি আমগোর লগে।
আমি দীর্ঘশ্বাস ছাইড়া কইলাম-
তোগোর মতো পলকা হইয়া দমকা হাওয়ায়
আকুলি-বিকুলি এমন আমারও উড়বার মন চায়।
কিন্তু পারিনা, কেন জানি পারিনা।
আবার আমি জিগাইলাম-
তোরা যেইহানে যাস, সেই জায়গায় কী
বেহেশতের সবুজ পাখি দেহন যায়?
তারার লগে কথা কওন যায়?
মেঘেরা কেন জানি এই প্রশ্ন হুইনা
আরও জোরে দৌড়াইতে লাগলো,
আর কোনো কথা কইলোনা আমার লগে।
আমি তহন বড্ড মন খারাপ কইরা-
একলা একলাই নিজের সাথে কথা শুরু করলাম।
.
নিজেরে জিগাইলাম- তুই মেঘের সাথে গিয়া করবিডা কী?
নিজেই নিজেরে উত্তর দিলাম- জান্নাতের সবুজ পাখি দেহুম।
কেন তুই যাবিনা?
আবারও দীর্ঘশ্বাস, নিজের সাথেই নিজের দোটানা।
চুপ কইরা পইড়া থাকলাম, মেঘেরা আরও জোরে
আরও জোরে দৌড়াইতে লাগলো।
কেন জানি সব দ্রুত হইতে লাগলো।
হঠাৎ খেয়াল করলাম- সেই সন্ধ্যা এখন আর সন্ধ্যা নাই
মনে হয় মাঝ রাইত।
আমি ঘড়ি না দেইখা আবার ভাবনায় তলায়া গেলাম-
কীসের ভাবনা কইতে পারিনা, কিন্তু অনেক গভীরে
অনেক গভীরে তলায়া গেলাম...........