আমি বিলীন হতে পারতাম
হতে পারতাম দেয়ালের মলিন পলেস্তেরা।
আমি হতে পারতাম নিতান্ত নিষ্প্রয়োজন,
হতে পারতাম আগুনে ক্ষয়ে যাওয়া মোমটুকু।
আমি হতে পারতাম পেন্সিলের মুছে যাওয়া কালি
হতে পারতাম লেলিহান শিখার ধোঁয়াটুকু।
আমি হতে পারতাম কারো খেয়ালবিহিন দীর্ঘশ্বাস
হতে পারতাম কারো একপলক চাহনি বটে।
আমি বিলীন হতে পারতাম
কোনোকালে আমার স্মৃতি থাকতো না—
থাকতো না অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত।
কারো ভরসা, আস্থা, ভয়, দুশ্চিন্তা হতো না আমাকে নিয়ে
মোটকথা, না আমি কারুর; না কেউ আমার হতো।
আমি অস্তিত্ববিহিন হতে পারতাম।
প্রশ্নই থাকতো না নিজেকে নিয়ে ভাবনায় হারানোর,
প্রশ্নই থাকতো না এতো এতো গল্প-কল্পের।
আমি বিলীন হতে পারতাম
তবুও আমাকে অস্তিত্বে আনা হলো,
দেওয়া হলো শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদা।
আমাকে নিয়ে পরিকল্পনা হলো
হলো রিজিকের হিসেবে-নিকেষ, কর্মেরও বটে।
আমার জন্য নির্ধারণ করা হলো পথ,
নির্ধারণ করা হলো দিক-নির্দেশনা,
আমার জন্য নির্ধারণ হলো অমোঘ গন্তব্য,
এখন তো ইচ্ছেরা আমার হাতেই সোপর্দ—
কোথায় নিয়ে যাবো নিজেকে!