জীবিত লাশের মিছিলে হৃৎপিন্ডটা উঠা নামা করছে...
পাথরের জঙ্গলে সভ্য পশুদের ভিড়,
সিগন্যালে সিগন্যালে প্রেমিক...
ভালোবাসা শরীরে অস্থির;
গোলাপে আঁতর মাখা প্রেমিকা খুঁজছে প্রেমিক।
তোমার বারান্দায় শুকানো শাড়ীর আঁচল দেখে...
তোমার কথা মনে করে মুচকি হাসা পাগল ছেলেটা আমি,
তোমার হাতে কদম তুলে দিয়ে ভালোবাসি বলা ছেলেটা আমি;
জল কাঁদার পথে গাড়ির চাকার চলাচলে...
ছিটে আসা কাঁদার সামনে দাঁড়িয়ে পরা ছেলেটা আমি,
ডাক পিয়ন যার নামের চিঠি...
তোমার দুয়ারে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় সেই ছেলেটা আমি,
তুমি কান্না করলে...
তোমাকে বুকে জড়িয়ে রাখা সেই ছেলেটা আমি;
তুমি হাসলে তোমাকে কোলে তুলে...
সারাবাড়ি চষে ফেরা সেই ছেলেটা আমি।
কংক্রিটের এই নগরে আমি ভালোবাসতে দেখি,
ছুয়ে দেখার খেলায় মত্ত নর-নারী...
কিংবা গাড় চুম্বনে আবদ্ধ কোনো যুগল;
ড্রেনের ধারে ভেসে যায় স্বপ্ন...
নিষ্পাপ শিশুর রক্তে রাংগা চারটে হাত,
কামনার আগুনে পুড়ে যাওয়া হৃৎপিন্ড...
ভালোবাসা পোড়ার গন্ধ শহরের বাতাসে।
ভালোবাসা,
আমি তোমার দুয়ারে গিয়ে দাঁড়ায়...
তোমার চুলের আহবানে...
তোমার চোখের আহবানে...
তোমার হাসির আহবানে...
তোমার হৃৎপিন্ডের আহবানে;
আমি চোখ বন্ধ করলেই তোমার শরীরের ঘ্রাণ জানান দেয় তুমি আছো,
হাতের আংগুলে আংগুল রাখলে মনে হয় আমি আর শত বছর বাঁচবো,
তুমি বুকে মাথা রাখলে হৃৎপিন্ড জানান দেয় আমি চলছি,
তোমার চুলগুলো মুখের ওপর এলিয়ে দিলে...
আমি মনে মনে বলি-
"আমি তোমার শত বছরের পুরানো প্রেমিক হতে চাই!
তুমি আমি সাদা চুলে শত বর্ষার সাক্ষী হবো...
সাক্ষী হবো শত বসন্তের;
তোমার আমার চোখ দুটো সাক্ষী হবে শত বছরের পৃথিবীর আবর্তনের,
কোনো এক রাতে খোলা আকাশের নিচে...
সাক্ষী হবো শত বছর বয়সী কোনো চন্দ্র গ্রহণের;
শত বছর পুরানো প্রেম যুগলের তালিকায়...
তোমার আমার নাম থাকবে প্রথম পাতায়,
শত বছর বয়সী হৃদপিণ্ডে লাল রক্তের ক্ষরণ থাকবে প্রবাহমান!
তোমার তলপেটে বেড়ে উঠবে আমার কবিতা।"
তোমার আমি এমনি রবো...
শত বছরের পুরানো আমিতে একটুও বদল ছুবে না,
এই শহর কখনো আমাদের হবে না...
ভালবাসা,
তোমার আমার আপন হবে কেবলই...
তুমি আমি মাটির বাড়ি আর আমাদের কবিতা।