একে একে সবাই এল,
নিজেদের দুঃখের ফিরিস্তি শোনাল।
আমি একনিষ্ঠ শ্রোতা হয়ে সমস্ত শুনলাম,
তাদের দুঃখগুলো তাদের সাথে যাপন করলাম,
জ্বলন্ত আঘাতে শীতল জল ঢাললাম সাধ্যমতো।
দুঃখের বোঝা হালকা হলে
তারা ফিরে যেতে উদ্যত হলো,
নিয়ত তাদের ঘিরে থাকা
এতো এতো দুঃখের ভিড়ে
আমাকে ব্যতিক্রম ‘সুখী’ ঘোষণা করে
প্রচণ্ড ঈর্ষা প্রকাশ করল;
আমি আলতো সহমর্মিতার হাসি হেসে
তাদের বিদায় দিলাম, সবাই ফিরে গেল।
যেতে যেতেও তারা
ঘুণাক্ষরেও টের পেল না,
এই মৃদু হাসির ফাঁপা আবরণ তুলে নিলেই
আত্মপ্রকাশ করবে
ভোরের প্রথম কিরণের মতো
তাজা দগদগে ক্ষতচিহ্নের নকশা!