সময় হারিয়ে যায় জীবনের গতিপথ মাড়িয়ে...
রোজ নিয়ম করে রাত নামে, দিন ঘামে,
বিষণ্ণ বিকেল যত্নে সাজায় সন্ধ্যার আগমনী মঞ্চ;
সে মঞ্চে দলীয় সঙ্গীত উপস্থাপন করে
নীড়ে ফিরতে থাকা পাখির দল।
শহরের একঘেয়ে ট্রাফিক জ্যামে বহুমুখী জীবনের চিত্র;
ভিজে চুপচুপে শার্টের কলার,
বুকপকেটে মামনির সারাদিনের অপেক্ষা ভোলাতে
চকচকে প্যাকেটে মোড়ানো দামি চকোলেট।
মুখে ঠাসা একরাশ বিরক্তি, যার ঝাঁঝ উগড়ে যায়
নিরীহ রিকশাওয়ালা কিংবা ত্যাঁদড় কন্ডাকটরের উপর।
গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসা শীর্ণকায় কিশোরটি
চেঁচিয়ে ফেরি করে শীতল জল,
হকারের হাঁকডাকে হাটবাজার হয়ে ওঠে পাবলিক বাস।
ঘণ্টা কয়েক পেরিয়ে গেলে মিলিয়ে যাবে সমস্ত কোলাহল,
আঁধারের আবরণ জড়িয়ে নেবে গোটা নগরী;
কারও ক্ষত তাজা হবে, কেউ তলিয়ে যাবে প্রশান্তির ঘুমে,
কেউ কেউ তখনও ব্যস্তসমস্ত রবে দায়িত্বের চাপে।
জীবনসংগ্রামের তো আদৌ কোন বিরাম নেই!
কতেক আলাভোলা কবি হয়তো মাথা চুলকোবে
পরের পঙক্তি গুছিয়ে তোলার মনোযোগী আরাধনায়!
জীবনের রঙ-রূপ-রস তাকে ফুটিয়ে তুলতে হবে কবিতায়;
শব্দের মায়াজালে বুনতে হবে অর্থবহ চিত্রকথা।
কারণ জীবন আর কবিতা হাত ধরাধরি করে বাঁচে।
কবিতায় জীবন রাজে, জীবন কবিতায় সাজে।