এই ছেলেটা
রোজ এখানে আসে,
শিমুলতলায়
ছোট্ট বেড়ার পাশে।

এসে অবাক
চোখের পানি ফেলে,
দুঃখ যে তার
উপচে পড়ে ঠেলে।

তড়পায় সে
একটু সোহাগ চেয়ে,
খোঁজে আঁচল
ভিজলে শরীর নেয়ে।

চুলগুলো তার
পরশ পেতে কাতর,
যে পরশে
থাকত হাজার আদর।

এই ছেলেটার
মন ভার অভিমানে,
কেউ নেই মান
ভাঙাবে দু'গাল টেনে।

ফোঁপাতেই আগে
মিলত বুকের ওম;
অশ্রুবানে ভাসে এখন,
সান্ত্বনা তবু গুম।

চাঁদের গীতি
ঘুম নামাত চোখে,
চাঁদও যেন
সঙ্গে নেই এ শোকে।

গায় না কেউ আর
ঘুমপাড়ানি গান;
ঘুম নেই তাই,
মন করে আনচান।

খাইয়ে দিতে
নেই আর জোরাজুরি,
দস্যিপনায়
ঘোরায় না কেউ ছড়ি।

এই ছেলেটা
কষ্ট বুকে বাঁচে,
ছোট্ট হৃদয়
পোড়ে দুখের আঁচে।

'খোকা' বলে
মধুর ডাকের আশে,
কান দুটো তার
যত্নে সবুর পোষে।

এই ছেলেটা
রোজ দাঁড়িয়ে কাঁদে;
ভাবে, মা তার
ফিরবে কদিন বাদে?