পথহারা একটি দূর্বল পথিকের ক্ষীণ আশা
কেউ তাকে গন্তব্য বুঝিয়ে দিক
শুধরে দিক ওসব“কানউলা”গল্পের যত ভুল
সম্ভব হলে কেউ সাথী করে নিক
অন্তরাত্নাময় ছড়িয়ে দিক তার ভালোবাসা
হাতে নিয়ে রজনীগন্ধার সদ্য ফুটানো ফুল।
জোনাকির সুক্ষ্ণ আলোতে কষ্ট হয় চলতে
নেই ব্যথা উপষমের কোন পথ্য
সর্বদাই কানে বাজে কোন নূপুরের শব্দ
দিক না কেউ দুপুর রাতের তথ্য
কাউয়াজাঙ্গির গুটা খেয়ে নেশায় টলতে
জানি না-আর কত গুণতে হবে সেই অব্দ!
কাপরের ভাঁজে ওড়নাটা গুঁজতে গুঁজতে
ব্যার্থ হয়ে বাতাসের সাথে যুঝে
কোন ভোরে আমার বুকে কেউ পড়বে ঢলি?
অনেক অপেক্ষার প্রহর খোঁজে
এই পথহারাকে পারবে কি কেউ বুঝতে?
আর কবে ফুটবে রজনীগন্ধার সেই কলি!
নিঃশব্দে আমার কানে কেউ ঢালুক মধু
হাতদুটোতে গলা পেঁচিয়ে ধরুক
পূর্ণিমার যৌবনে কেউ বসুক আমার পাশে
আমারই হাতের স্পর্শে ফিরুক
সুখ দুঃখের ভাগ নিক হয়ে সাধ্বী বধু
আছে কেউ,যার হৃদয়ে আমারই ছবি ভাসে?
আমি সুন্দরচোখা প্রেয়সীর হিতাকাঙ্খী হবো!
বন্দিনী হতে নন্দিনী ঐ হৃদের
পথহারা পথিক,চলেছি একা,গূঢ় অমানিশা!
কেউ সন্ধান দিক নতুন পথের
দূর্গম পথে সাথী করে নিক আমায় তবু
আছে কি কেউ,যে দিবে এবার নতুন দিশা?