পূর্বিতা শোন,তোমার প্রণয়ের কিরীটিকা পড়েছি
তুমারই জন্য হৃদয়ে শ্বেত হাজরে মঞ্জিল গড়েছি
তোমাকে জেনো হতে দিবো না কখনো দিগম্বরী
প্রভুর মর্জি হয় এই রাজেন্দ্র তুমার অতন্দ্র প্রহরী।
কিশোরী কিশলয়,আমি উৎসুক তোমারই প্রণয়ে
মুর্ছা যেও আবেগে তুমি মৃগেন্দ্র কেশরী তনয়ে।
ভেবো না সবই কিসমত!সবই কেবল মৃত আশা
দূর থেকে কাছে এসে বুঝা যায় মনের সব ভাষা
পরিচিতা বনেও যাওয়া যায়,হাটা যায় পাশাপাশি
অপরিচিতা হতেও নিশিতে আসা যায় কাছাকাছি।
বিরুপ রাতে দূরে হাঁটা যায় গহীন বনে একসাথে
কাটানো যায় দীর্ঘ সময় রেখে হাত বিশ্বস্ত হাতে
যোজন পাড়ি দেওয়া যায়,দুজনে নিয়ে দৃপ্ত শপথ
নিমিষে আপন বনা যায় এক হলে দুই মনোরথ।
সুহাসিনী,স্তব্ধ বীথিতে ঝলকানো চাঁদের আলো
হৃদয়ে পড়ে তম পদচিহ্ন নিশ্চিহ্ন হয়েছে কালো
নিক্কন যে নুপুরের জানি অবগাহন যমযম জলে
নেই বধিরতা,আজি হারিয়েছি তম অতল তলে।
ঘর আলোক শোন হে,বিধাতা যদি না বাদসাধে-
জেনো তবে,খাস দূর্গবাসিনী হবে আমার কাঁধে।
হঠাৎ এক রজনীতে মহীয়সি তোমার আবির্ভাব
নিশাফোঁড় উদ্ভাসিত একটি প্রেরণাময় ধূমকেতু
কুমুদিনী,এখনো রয়ছো দূরে,এখনো তিরোভাব?
মুটেও জানি না কারণ,কিই বা তার তুচ্ছ হেতু!
কত আলোক বর্ষ পর এসেছো জাফনুন আমার!
কি বলে সম্ভাষি!এসেছো আলোয় টানতে অধমে
সলজ্জ দর্শন দিবে না হে ভুবনমোহিনী একবার?
তম পানেই যে ছুটেছি,চলেছি অতি দ্রুত কদমে।
তুমি প্রভাতী ঊষা,দোয়েলের কুজন মিষ্টি সাঁঝে
মধ্যাহ্নে আমার ঘর্মাক্ত বপু শীতলানো আঁচল,
বহু নক্ষত্রের মাঝে রাতে তুমি এক অনন্য তারা
তোমাকে নিভৃতে খুঁজেছি আমি ধরিত্রীর মাঝে;
ভাবিনি যে আর কাউকে মাধবী তোমাকে ছাড়া,
নব আগ্রার উপাখ্যান,তুমি যে আমার নীলাচল।
তুমি স্বচ্ছ পানির উচ্ছলিত ঝর্ণা,সাগরে স্বর্ণদ্বীপ
কুফুতে অমিল থাকা সত্ত্বেও এটা যে বেশ সত্য
তুমি আমার ফোয়ারা,তুমি আমার নব অন্তরীপ।
তোমার মহার্ঘ প্রশংসায় উচ্ছসিত বসুধা আজ
রিক্ত হাতে না ফিরে তুমাতে নিবো নতুন সাঁজ।
অনিত্য অনন্ত রুপে মুগ্ধ করেছো হে বিমোহিনী!
পাষাণ মজালা যুঝি তুমি স্নিগ্ধ কোমল কামিনী।
নহলী যুবান টলানো তোমার চাহনি পবিত্র দান
কুহেলী কুহরে পূতঃ প্রভা তুমি একটি দীপিকা
লাল টকটকে আলোর ছটা,অতিশয় দীপ্তিমান
তুমি প্রস্ফুটিত হাজারো কাঁঠাল চাঁপার বীথিকা।
সুনীল দেখো সুনিয়ত,সুনিয়ত রত্নাকর,পাহারও;
তুমি আমার জুয়াইরিয়াহ,প্রাণাধিক যত আরও।
উপচিকীর্ষু,নলিনী,সুদন্তী ইসরাত-সুধর্মা আমাতে
সুবাসিত সুন্ধি!সুনেহ চাই আমি চাবিত তোমাতে।
অলখে বলবো হে প্রিয়ংবদা!তোমাতে প্রচুর সুধা
পরিণয় হোক,আমাকে রেখেছো চটে চক্ষু মুদা।