বন্ধু!প্রিয় মুখ-
আতান্তরে দলিত অনুভূতির রুক্ষতায় জ্বলিত আমি
আসিয়া ছিলে অধমের কাছে সোৎসাহে,
সামান্য আতিথ্যের সূচকও পারি নাই দেখাইতে!
হায়!কি আড়ষ্টতা আমার;নিদারুণ নিষ্ঠুরতা।
হয়তো বুঝিয়াছো নয়তো অবিদিত তুমি
হাসিয়া ছিলে জানি সিত বসনের একান্তে।
হায়!কি সতত স্খলন আমার;চরম অস্পৃশ্যতা।
বন্ধু!নও বিমুখ,
আপনার আলয়ে নহে অনন্ত আমি ক্ষণিকের প্রজা
সময় আসিয়া শাসায় আমারে!বেতমিজ সে রাজা।
যেদিকে ফিরি অদৃশ্য বাধার ক্রমোন্নত দেয়াল,
মন যদিও চাহে ছুটিতে মেলিয়া মুক্ত পাখা,
পারি না,পারিতেছি না!বিভৎস এই চাখা;
ভূয় হারাইয়া ফেলি সব খেয়াল।
বন্ধু!ভাবী কাণ্ডারী-
প্রয়োজনের উর্ধ্বে স্বার্থের বাহিরেই হয় বন্ধুত্ব
গরজের কামান গর্জিয়া ওঠিলে সেইটা অন্ধত্ব
হারাইয়া যায়,যাইতেছে হারাইয়া প্রকৃত ঐকতান
আবহমান বন্ধুত্বের আজ চিরশত্রু
কপট বহুরুপী বহু আফিমের নেশা আর
উপযুক্ত দুঃসময়ে পিছুটান।
বন্ধু!হিতৈষী বন্ধু!
ভাগ্যের স্বহাস্য অমায়িকতায় যায় না সব পাওয়া
বিধাতার দেওয়া অমোঘ সিদ্ধান্ত,
“যাহা ঘটে অবশ্যই অতি উত্তম তাহা বটে!
ভালোয় ঘটা বাহ্যত যাহা মন্দ,তাহা তা নয়!
ভালোর চাদরে জানিও মন্দেরও আশ্রয় হয়”
মন্দের আদলে ভালো প্রকারান্তে আমাদের কাম্য,
আমাদেরই অবচেতন মনের প্রারম্ভিক চাওয়া।
ভাবিয়া দেখো তো,ভাগ্যের স্বহাস্য অমায়িকতায়
সত্যিই যায় কি সবটা পাওয়া?
বন্ধু!
সতত সাধিতে আপনা কর্ম লভিতে কাহারো পাণি
টানিও না কখনো উদ্যতভাবে হীন স্বার্থের ঘানি।
তম হৃদয়ের গহিনে অলখে পবিত্র আসনে বসিয়া;
সব হৃদয়ের আহত অনুযোগ বাণী তুমি শুনিবে
আপনা দুঃখে পরিশ্রান্ত মুখে কেবলি হাসিবে তুমি,
কাঁদিবে সতত সবার দুঃখে নিভৃতে পাশে পৌঁছিয়া।