এতটুকুন যে ছিলেম তখন
এই তো ছিলেম-কদিন আগেও
মধ্য পৌষের ঠান্ডাটা যখন
মানছিলোই না টিরির দাগেও।

কেচার বেড়া-টিনের ছানি
টুপ-টুপ রাত্তিরে কুয়াশ পড়ছে
মাটির খাটে চারটে আনি
লেপের উমে হাপটেয় ধরছে।

কে ডেকেছে!ফিসফিসানি
পানি আয়ছে-তাজ্জব ব্যাপার
ভীত আমি-কোথায় পানি?
শীতের সুম-রাত্তিকালে আবার!

খিলবাড়ি হই ধানকা এই
শেষ রাত্তিরে বৈ কুদরতি খবর
মোবেল করে বলছে যেই
বাঁশ কাটছে সবে হৈ ধুপ ধপর।

দুদিন হলো জ্বর করেছি
কাঁপছি বিষম রৈ রৈ হৈল্লা শুনে
কি হচ্ছে?আল্লাহ স্মরেছি
বাজান দিচ্ছে ফুঁক গুনে গুনে।

সবাই নাকি আনছে পানি
মায়েও গেলো তা আনতে ছুটে
শিফা হবে সব রোগে মানি
জ্বর আমার আজ যাবে মোটে।

সারা গেরামে লোক জাগনা
ফজর হলে নাকি ফুরাবে জল
আল্লাহর দান পাচ্ছে মাগনা
মুরব্বিরা বলছে,“বাঁশের কল”।

“কৈঞ্চার ছাল ছুললে পানি
কুপ দিলে বাঁশে আর কথা নাই
নোডা-বাটি-বোতল টানি
টেলকা পানি কি ঝরছে ওমাই!”

এক কান দু কান-এই কথা
হেই গেরামেও পৌঁছে গেছে সুর
বাঁশের পানির মাহাত্ন গাঁথা
কানাকানিতে ছড়ছে বহু দূর।

কেউ বা বলে আজান হলো
কেউ বা কাঁদে রহমত শেষ বলে
কেউ বা বলে পানি ফুরালো
কেউ বা আবারি আনতে চলে।

গরগর বুকে আওয়াজ হয়
মায়ে খাওয়ালো বরকতি পানি
পরদিন জ্বর সারে নিশ্চয়
বে এলেম তখন বিশ্বাস আনি।

সকাল হয়-বাঁশ কাটে কেউ
সেই পানির আর বিন্দু ভাসে নি
সেই রাত্তিরের পানির ঢেউ
কোন রাত্তিরেই আর আসে নি।

০৮/০৮/২০২২-আউশনারা,মধুপুর।