আমি দেখি অপলক অন্ধকারের ঐ দূর নক্ষত্র খচিত দীপ্তিমান তারকারাজি,
অবাক বিস্ময়ে ভাবি,ঐ শূন্য শুভ্র নীলাম্বরের পরেও কি কিছু আছে?
বহুমাত্রিকতায় হারিয়ে যেতে যেতে ভাবনার শেষ হয়,তবুও চিরন্তন পথের নয়।
আমি আবারো ছুট দেই মৃত্তিকার গহীন থেকে খগোলের গভীরে।
আমি অবাক মানি,পারবো তো অসীম অন্তে পৌঁছাতে?
নিকষ মাভৈ মহাকালে মোর যাত্রা,আমি একহারা;
অনাগত পথের আহূত পথিক আমি-
অনাদি,অনন্তকালের অতলে ধাবিত একটি তারা।
আমি দুর্দান্ত,আমি চরমে পুলকিত হই শান্ত,
আমি দুর্জয়,আমি সত্যের জন্য সর্বদা আহুত,
আমি ক্ষুব্ধ ক্রোব্ধ কবিতার তরবারি সূচালো
তমসাবৃত ধরিত্রীতে খুঁজি কিঞ্চিত আলো।
আমি নব সৃষ্টির পরশ পাথর,ধ্বংস নাশক।
আমি উর্ধ্বোথিত আলোক মশাল।
নশ্বর দেহ,শাশ্বত আত্মা প্রভু বলেন:
তবুও হতে চাই না আমি নির্বাপিত।
ঐশ্বর্য,সুখ আর সৌন্দর্য্যমন্ডিত বহুতল দালানের সবাই আজ মাটিতে নিবাসিত,
কি লাভ ক্ষণিকের কাজে এসে পুঁজি না করে চাকচিক্যে মজে?
সবই নিছক মিছে,নিশ্চয়ই হবে ফিকে।
সবাই ফিরেছে অতীতে,কেউ বাল্যে কেউ কৈশোর যৌবনে কেউ বা অশীতিপর শতবর্ষী তারও পরে কেউ বা খুন খুনে বৃদ্ধে।
ফিরতেই হবে স্রষ্টার ডাকে,পাবো না পাড় তফাতে।
আমি অনাড়ম্বর জীবনে যাপিত টগবগে তরুণ,
শোণিতে আমার উদ্যত আত্মার সহজাত ভোগবিলাসিতা,অতৃপ্ততা,বাঁচার জন্য ধরার প্রতি তীব্র অন্যায় মোহ টান;
চারপাশে অনৌচিত্য বিশৃঙ্খলা,আমি প্রতিবাদী,
বহ্নিশিখা,পারছি না আর ঋত পথে চলতে!
যুঝে তথৈবচ দীর্ঘক্ষণ তাদেরই সাথে
মুমূর্ষু তৃষিত আমি-
বৃথা যায় যায় এই বুঝি অমূল্য চিজ,
বিধাতার দেয়া মহার্ঘ প্রাণ।
ইত্যবসরে কদাচিৎ কিছু নেক আমল আর অঢেল পাপ নিয়ে আমিও একদিন ফিরবো,
মলিন স্মৃতি শুধু রবে পরে,কেউ স্মরণ করবে আমায় আবেগে কেউ বা হিংসে ভর্ৎসনা করে তবুও তা কিছুদিন,মানুষের ভিড়ে;
ধীরে ধীরে সব যাবে ডুবে সময়ের কৃষ্ণগহ্বর আর উত্তপ্ত জীবনগুলির সাইমুম ঝড়ে।
সব কিছুতেই রবে অতীতের বহতা।
না ব্যত্যাস;শিশিরে সিক্ত শাদ্বল না হবে সমাচ্ছন্ন এতটুকুও!
শুধু আমিই থাকবো না,ফিরে যাবো প্রভুর দিকে।
কি লাভ ক্ষণিকের কাজে এসে পুঁজি না করে চাকচিক্যে মজে?
সবই নিছক মিছে,নিশ্চয়ই হবে ফিকে।