হে বাংলা মায়ের কির্তিমান সু সন্তানেরা,
আজ মহা কালের সাক্ষ্য হয়ে
ইতিহাসে নাম লেখাও,
আজ তুমি কারে ডড়াও?
কলংকটি ঘুচে দাও।
এই বাংলার রুপ রং রসে
জ্ঞানে গুণে ধনে ঐষর্য্যে
দিয়েছে তোমায় ভরি,
তবু কেন হায়
কোন আশংকায় ভয়ে দাও হামাগুরি?
কান পেতে শোন,
তিরিশ লক্ষ শহীদের হাহাকার,
চেয়ে আছে যেন
মুখপানে তোমার খুলিতে নতুন দ্ধার।
আজ বধীবে দানব
দেখিবে মানব চেয়ে আছে সারা বিশ্ব
এক দিন যারা করেছিলো মোদের
এতিম অসহায় নিঃস্ব!
বোনের কাছ থেকে ভাই কেড়েছে
ভাই হারিয়েছে বোন,
কত নাম না জানা অজানা বোনেরা
দিলো তার সম্ভ্রম!
হয়নিকো শোনা,
কবি মেহেরুনের অজেয় কবিতাঞ্জলি
কাদির মোল্লা সেই সে দানব
দিয়েছিলো তারে বলি
বৃদ্ধা মা আর দুই ভাই,
তারা বুকে রেখে কোর-আন
বলেছিলো তারা
মোদের কি দোষ আমরাতো মুসলমান?
শোনেনি পিচাশ,
দেয় হুংকার তাদের ধরিয়া আন!
মেহেরুনের সাথে,
ঐ তিনটাকে গলাগলি করে বান!
মেহেরুনকে একসাথে করে সাথে মা আর ভাই
নরঘাতক সে কসাই কাদের দেয় তাদের জবাই!
তিন শতাধীক বাঙালিরে যে একদিনে দেয় বলি
সে দানবের শাস্তি যাবত জীবন কি করে গ্রহন করি?
মানিনা মানিনা,
এই রায় মোরা মানিবোনা কোনদিন,
তিরিশ লক্ষ শহীদের কাছে,
মোদেরও আছে ঋণ।
দেখো শাহবাগে আজ
এসেছে জোয়ার গায় নবীনের গান।
সদ্য ফোটা ফুলেরা এসেছে বিলিয়ে দিতে প্রাণ
ইথারে বসে যেই প্রেমিকেরা শোনতো প্রেমের গান
রক্তে তাদের লেগেছে আগুণ গায় শিকল ভাঙার গান!
ক্রমান্নয়ে সেই সুর খানা প্রাণে প্রাণে বেজে যায়
এই বাংলার আকাশ বাতাস পদ্মা মেঘনা ছেয়ে যায়।
আজ দানবে মানবে যুদ্ধ হবে তোমরা যদি চাও
দানব বধিতে আমরা্ও পারি প্রমান নেবেতো নাও!
যুদ্ধ থামাতে তোমরাই পারো হও যদি আগুয়ান
চারিদিকে আজ কাঁদিছে দেখো লক্ষ হাজার প্রাণ।
বিনয়ে বলিযে আজ,
তোমার হাতের সোনা ঝলমলে কলম খানি উঠাও,
হয়েযাও কবি লিখে দাও তোমার অমর কবিতা খানি,
এই বাংলায় জিবিত আছে যত্ত রাজাকার,
সব দৈত্তের ফাসি হবে রইবেনা বাকি আর।
কবিতাটি  ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কাদির মোল্লার যাবত জীবন কারাদন্ডের রায়ের পর লেখা।