বাগদাদে ছিল এক বীর পালোয়ান,
জোনাইদ বাগদাদী ছিল যার নাম।
কুস্তিতে ছিলেন তিনি মহা ওস্তাদ,
কত বাঘা পালোয়ান করে কুপোকাত।
একদিন বাদশার ঘোষণা আসিল
কুস্তিতে জুনাইদকে যে হারাবে
সহস্র স্বর্ণমুদ্রা সে জিতিবে।
শুনে রাজ ঘোষণা যারাই এলো
জোনাইদের সামনে তারা না টিকিল।
একদা জীর্ণ শীর্ণ রোগা এক লোক.
ডাকিল জুনাইদ বলে লড়িতে উৎসুখ !
লক লকে দেহখানা যেন লম্বা লাঠি
পেট পিঠ কাঠ হয়ে আছে পরিপাটি !
ডাগর আঁখি দুটি দুু ভ্রুর নিচে তার
নাক খানা এত খাড়া যেন ছিপ খোলা দ্বার
বাদশা এসে দেখে এতো ভারী মুশকিল
হবে সে তো ধরাশায়ী যদি মারে এক কিল
বাদশাতো ভাবে বসে কুস্তিতো হবেনা
মরবেতো নিশ্চই যদি মারে এক ঘা
জোনাইদ ডেকে বলে ফিরে যাও ভাই
তোমার সাথে লড়ার মোর সাধ নাই
আমি লড়ি তার সাথে আছে যার বাহুবল
দেখেইতো বুঝা যায় তুমি মহা দুর্বল
ডেকে বলে সেই লোক একবার এসোনা
হারাবতো নিশ্চই দেখি তুমি কত সেয়ানা
বিস্ময়ে নেমে এলো সামনেতে জোনাইদ
উৎসুক হলো জড়ো লোকজন চারদিক
কানে কানে সেই লোক বলে শোন জোনাইদ
নিস্বঃ অনাহারী আমি এক সৈয়্যদ
বেশ কিছুদিন ধরে মোর পুরো পরিবার
নেই কোন দানা পানি খাবার মতো আহার
তোমার সাথে লড়ি সেই বল নাই আমার ।
তুমি যদি আজ ভাই হেরে যাও মোর সাথে
সাফায়াতের তাজ পাবে হাশরে রাসুলের হাতে
জোনাইদ শুনে বলে ঠিক আছে ভাই .
মারো তবে এক ঘুষি আমি শুয়ে যাই।
পাতানো খেলার ছলে হেরে যায় জোনাইদ
উৎসুক জনতা করে শুধু ধীক ধীক !
বাদশা জোনাইদকে কাছে ডেকে বলে
হারলে কেন তুমি পাতানো খেলার ছলে ?
জোনাইদ বলে আমি নইতো পাষান সীমার
সৈয়্যদ জাদার বুকে উঠি সেই সাধ নাই আমার
ছাড়িয়া বীরের বেশ নিস্বঃ অসহায় বেশে
চলে যায় জোনাইদ পরম পাওয়া সুখ চিত্তে
সেই রাতে দু জাহানের বাদশা মোহাম্মদ (সঃ)
সপ্নেতে ডেকে বলে ওরে মোর জোনাইদ
দিয়েছো নিজের মান রাখতে আমার মান
আজ হতে এ দুনিয়া দিবে তোমায় সম্মান
প্রিয় হলে আজ হতে মহান খোদার কাছে
প্রিয় হবে আজ হতে মোর প্রেমিক উম্মতের কাছে।