তুমি নেই বলে আমাদের আর জানা হলো না,
পারোর জীবনের শেষ কটা দিন,
মান-অভিমান নিয়ে কোথায় চলে গেল চন্দ্রমুখী?
বস্তির ছেলেটাও একদিন স্বপ্ন দেখতো দেব-বাবু হওয়ার,
কেউ রাখেনি তার খবর আর।
আমাদের দুঃখ-সুখ গুলো এখন
নাগরিক সভ্যতার অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে বসে আছে,
আর উপেন দা নেই বলে।
সুনীল আকাশে আর সমস্যা গুলো উড়ে যায়নি,
মুক্ত বিহঙ্গের মত।তুমি নেই বলে।
আকাশ-বাতাস ভুলে গেছে মেজদির আদর।
লালুরা আজ আর তেমন দুষ্টুমি করে না,
পাড়ার দামাল ছেলে বলে পরিচিত সে ছেলেটা-
যার ছিল এক নরম মন,তোমার শ্রীকান্তের মতো-
তার খবর আর কেউ রাখে না,তুমি নেই বলে...
এখনো সব্যসাচী আছে তার পথের দাবি নিয়ে,কিন্তু
তুমি নেই বলে সে ঠিকানা আজ কেউ বলার নেই।
তুমি নেই বলে আর কথা-রা শিল্প হয়ে উঠলো না,
মানব মনের সেই আকাঙ্ক্ষা আজ হারিয়ে গেল,
তোমার একটা কালীর আঁচড়ে সুচারু সমাধানের থেকে।
গাঁয়ের চাষা গফুর মিঞা
যে হয়ে উঠেছিল দেশ কালের গন্ডি পেরিয়ে
মানবতার পূজারী শ্বাশত পিতা
সে গফুর আর ফিরবে না কোনো দিন,
কোনো প্রায়শ্চিত্ত করতে কাশিপুর,তুমি নেই বলে।