আমার পাশে বসা সুন্দরী রমণীর অবাধ্য চুলগুলো
উড়ে চলেছ দুরন্ত বাতাসে।
বেহায়া বাতাস তার সুডৌল স্তন ছুঁয়ে,
ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার চিবুক ,
আমি গন্ধে পাগল হিংস্র বাঘের মতো তাকে চাইছি |
চাইছি শক্ত আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে তাকে রমন করতে।
উফফ কি ভীষণ উত্তেজনা, কি ভীষণ স্পৃহা।

সে আনমনে তার উড়ন্ত  চুল গুলো পরশ করলো,
আমি অশোক আগুনে পাগল হয়ে যাবো।
আমি চরম উত্তেজনায় মরেই যাবো।
তার ঘামের সাথে সুগন্ধী মিশে
একটা মায়াময় গন্ধ তৈরি করেছে আমার চারিপাশে।
আমি ক্রমে সম্মোহিত  হয়ে যাচ্ছি
তার সেই প্রেমিক পুরুষটির মতো।

তার পর সেই রমণী ভীষণ ক্লান্তিতে চোখ বুজে শুলো
কখন যেন তলিয়ে গেল এক গভীর ঘুমে,
আমার কাঁধে মাথা রেখে
যেন ক্ষুধার্ত বাঘিনীর কাছে হরিণ ছানা চাইছে আশ্রয়। আমার মন শান্ত হয়ে এলো-উত্তেজনা হলো প্রশমিত।
এই দীর্ঘ যাত্রাপথে সে আমার পাশে বসা সহযাত্রী মাত্র,
পরিচয় হীন এক ব্যক্তি;যার সাথে দেখা হবে না আর।

আমার স্কন্ধে তার বিশ্বস্ত নত মস্তক।
পাশে বসা সেই অষ্টাদশী রমণী কে
এখন শিশুর মতো আদর করতে ইচ্ছে করে।
যেমন দুরন্ত বাচ্চার মুখে ঘুমোনোর সময়
লেগে থাকে এক ঐশ্বরিক হাসি-তেমনি দেখেছি তারে।
আসলে ভালোবাসা আর বিশ্বাস মানুষকে
পশুর থেকে ঈশ্বর করে তোলে।