আকাশের বুকে শত কোটি নীল প্রচ্ছদ
ধরনীর তরে ঘুমহীন রাত,
বিকাশের দরিয়ায় মুছে না ফাগুন
আঘাতে কাটে প্রভাত।
তোমার ঝরে যাওয়া মর্মরি শব্দ
যুগ যুগান্ত অনন্ত পথ হলো জব্দ।
বেহেলার সুর রোদেলা দুপুর
সবুজের মাঠ বিরহ বিভোর ।
ঝরা পাতা, এই কবিতা শুধুই তোমার জন্য
কিছু শব্দলতা আর কতো কথা হলো অনন্য।
আজ কেন নেই উদাসীর হাসি
কেন হলো বাসী রুপ বিলাসী?
মধ্য রাতে কেন ভেসে আসে
কষ্টের নিদারুন পদ্য,
কেন ভেসে গেলো
শখ করে লেখা অমর গদ্য।
মহাভারতের মতো ছিলে
আঁখিতে আমার
বিকশিত হতো সুখ
জীবন জোয়াড়।
শত বেদনা কোটি যাতনা
তারপরও অভিশাপ নয়,
তোমার সুখেই শত প্রার্থনা
পাথর চোখেতে জেগে রয়।
ঐ দেখো তাজমহল যমুনার জল
এখানেও তুমি
বাঙলার পথ ঘাট নদী পাহাড়
সবুজের ভূমি।
স্বপ্নের স্বপ্ত কাননে ছিলো
তোমাতেই স্বর্গ সুধা
ওগো প্রেমী
ওগো সুখ মানবীলতা।
ঐ চোখে জাগ্রত বাংলার নদী
থেমে গেলো নিরবে
সব নিরবধি।
ঝরাপাতা, তোমার ঝরে যাওয়া দর্শনে
অগোছালো শব্দলতা আছে বিহনে।
চারদিকে চোখ মেলে দেখো চেহারা
পঞ্চপথে আছে বসে দিল বেহারা।
সুদূরের পথ থেকে বাঁশরি শোন!
অমলীন ঘন ছাপে টর্নেডো হান
কত কি ছিলে প্রিয়ে
হৃদয়ের এই মাঠে
কুয়াশায় ভরে দিলে
সারা পথ ঘাটে।
আজ আর কাজ নেই
শুনি সেই শব্দ
বেদনার গ্লানিরা
হলো সব জব্দ।
যত দূর যাও
বাও তরি বাও
হাসতে হাসতে পেখম মেলো,
ওগো কৃষ্ণ চূড়া
প্রিয় হাসনাহেনা
মাঝে মাঝে খোপাতে দোলো।
তোমার জমিনে ছিল আমার আবাদ
তিলে তিলে করেছি বপন,
সব ভুলে গেলে
আগুন ঢেলে দিলে
পাথরে ছড়ালো আগর বিবস্ত্র্র স্বপন।
বর্ণে বর্ণে ভাসে শব্দ তোমার
শব্দে শব্দে কত উপহার।
পঙ্কতিতে পঙ্কতিতে করি প্রার্থনা
ঝরাপাতা যেন হও সুখি সাধনা।
তোমার মর্মরি শব্দে
লাগে ব্যথা হায়!
ভাবনার আকাশে
আমি ঝরে যাই।
২২/১২/১৪ ইং
সুনামগঞ্জ, সিলেট।