ভয়াল ভূমিকম্প
কিছু বিপদের পূর্বাভাষ আসে না প্রকৃতির খেয়ালে ।
অশুভ দিনের সূচনা শনির ঠিক পঁচিশের এপ্রিলে ।।
ডাকছে পশু, ডাকছে পাখি পঁচিশের সেই সকালে ।
নড়ছে খাট, দুলছে পাখা, উত্তাল ঢেউ জলে জলে ।।
ঘুরছে মাথা, দুলছে শরীর, পা দুটো টলমল ।
“ভূমিকম্প” “ভূমিকম্প” জনমনে কোলাহল ।।
ঘরবাড়ী ছেড়ে ফাঁকা জায়গায় বেরিয়ে পড়ে সকলে ।
এই বুঝি সব পড়ল ভেঙে ভূমিকম্পের কবলে ।।
প্রতিবেশী দেশ নেপাল জুড়ে ভয়াল “ভূমিকম্প” ।
সারা দেশ তথা পৃথিবী জুড়ে সবার মনে আতঙ্ক ।।
উৎসস্থল কাঠমান্ডুর আশি কিলোমিটার দূরে ।
বারোটা বেলায় ভূকম্প শুরু পোখরার ভূমি জুড়ে ।।
ভাঙছে বাড়ী পড়ছে নীচে জলস্রোতের মতো ।
মৃত্যু মিছিল চোখের নিমেষে হাজার হাজার শত ।।
পর্যটকরা আতঙ্কে বন্দী এভারেষ্টের কোলে ।
কিছু পর্বত-আরোহী মৃত তুষার ধ্বসের ফলে ।।
“ধারওয়ারা টওয়ার” পড়ল ভেঙে তাসের ঘরের মতো ।
ঐতিহাসিক মিনার ঘিরে স্যুটিং হতো কত ।।
রিক্টর স্কেলে কম্পন ছিল সাত দশমিক নয় ।
তাই তো সারা নেপাল জুড়ে এমনই বিপর্যয় ।।
বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা আর উত্তরপ্রদেশে ।
ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানি ঘটে প্রকৃতির নির্দেশে ।।
পরের দিন পুনঃকম্পন নেপালের কোদারিতে ।
‘থাকবে কদিন প্রকৃতি বিরূপ’, প্রশ্ন জাগে মনেতে ।।
স্মৃতি বিজড়িত মন্দির, মসজিদ সবই ধ্বংসস্তূপে ।
অন্যতম বুদ্ধস্তূপ ও নেই উজ্বলরূপে ।।
ছড়িয়ে রয়েছে শব দেহ গুলো ধ্বংসস্তূপে নানা ।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজে সেনা ।।
বিশ্বের নানা দেশ গুলো আজ রয় নেপালের পাশে ।
ভারত তাদের অন্যতম সাহায্যেরই প্রয়াসে ।।
বিজ্ঞান যতই উন্নত হোক প্রকৃতির কাছে হার ।
“সবুজ বাঁচাও” অভিযানে যদি আসে এর প্রতিকার ।।