দেখাদেখি
আল আমিন চৌধুরী স্বপন
অনেকই চোখে চশমা রেখে খুঁজে এদিক-সেদিক,
ভুলে গিয়ে ভুল করে, চশমাটা চোখেই আছে
বুঝতে পেরে নিজে নিজেই লজ্জিত হয়। এমন অনেক
কিছুই নিজের মধ্যেই আছে কিন্তু খুঁজি অন্যখানে।
বুকের ভিতরে অফুরান্ত ভালবাসা তা সত্যেও হই উদাসী
কখনও কাঁদি কখনও হাসি । আগুনে পুরে মরবো নিশ্চিত
জেনেও আগুনে ঝাপ দেয় পিঁপিলিকা, আত্মত্যাগের মাঝেও
খুঁজে পায় আলোর দিশা।
চোখের ভিতরে আছে চোখ, মনের ভিতরে আছে মন
কাছে বা দূরে যে চোখেতে চোখ পরে, মন তার পিছু ছুটে।
চশমার ভিতর থেকে যা দেখি, ঠিক তা না
আমার ভিতর থেকে দেখি, একটা কোমল অনুভূতি
বুকের প্রান্তসীমা থেকে উড়ে এসে উড়ে যায়,
কতবার ভালবাসা উঁকি দিয়েছে, কতবার আবেগের ঝড়
উঠেছে এই মনে, চোখে দেখা অনেক স্মৃতি করেছে
ভাববাসার বন্দনা।
শৈশবের দূরন্ত পনা কামনার সুগ্রাণ পেয়ে সপে দেয়
নীজেকে, ভিতরে ভিতরে উঠে শিহরণ, যার স্পর্শ পেতে
ছুটেছি কত পথ, কত দিন-রাত, ঘুর-পাক খেয়ে
সেই পাকের মধ্যেই নিমজ্জিত হয়ে জীবনের সুখ-
খুঁজে পেয়েছি। যতটা কাছে টানে ততটা দূরে সরে যাই,
যত দূরে যাই ততটা কছে টানে।
চোখও এখন নিরাপদ নয়, পলকে পলকে আত্মসমর্পণ
করে যে বিবর যৌবন, সুড়ং পথে করে আনাগোনা,
অনেকেই হারিয়ে কাঁদে, কমে যায় দূরদৃষ্টি, কমে গেছে
চোক্ষু লজ্জা, গগজের ভিতর থেকে তাকায় লোলুপ দৃষ্টি,
স্বচক্ষে দেখে না ভিতরটা, চোখের অন্তরালে চোখ আছে ,
যারে অনুভবে দেখে। দৃষ্টিহীন মানুষও চলতে পারে-
আত্ম বিশ্বাসের পথে।