শীতের পদ্য লিখব অদ্য
ইচ্ছে দিচ্ছে তাড়া,
কিন্তু কী লিখি? শুধু চারদিকই
কু-আশার কুয়াশারা।
ভাব জড়োসড়ো কাঁপে থরোথরো
ওম খোঁজে একটুকু,
হিমে যেন শব শব্দ নীরব
মুখখানা দুখুদুখু।
লেপের তলায় ছন্দরা হায়
শুয়ে আছে জবুথবু,
খাতাপেন হাতে এই শীতরাতে
পদ্য লিখবো তবু!
শাল দিয়ে মুড়ি সহসা কে বুড়ি
দাঁড়ায় সামনে এসে,
থালাভরা পিঠে তার হাতটিতে
বলে হেসে ভালবেসে-
যতখুশি খা না, আরো আছে নানা
খাবার আমার কাছে,
খেজুরের রস ভাঁড় পাঁচ-দশ
নলেনের গুড়ও আছে।
মজা করে খাবি তবেই তো পাবি
শীতের আমেজখানা,
ছন্দ নাচবে ভাবেরা হাসবে
আসবে শব্দ নানা।
লিখবি তখন যতখুশি মন
শীতের পদ্য-ছড়া,
এইকথা বলে বুড়ি যায় চলে
বাইরে বেরিয়ে ত্বরা।
পিঠেপুলি দেখে জিভে লালা মেখে
ছন্দ ভাব ও ভাষা,
শীতটিত ভুলে নাচে হেলে দুলে
আহা মরি খাসা খাসা!
খেয়ে পিঠেপুলি ডায়রিটা খুলি।
ভাব হাসে ফিকফিকই,
ছন্দে গন্ধে পরমানন্দে
শীতের পদ্য লিখি।